শ্রীদেবীর অকাল প্রয়াণ। তার মৃত্যু বলিউডসহ ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসেএক ইন্দ্রপতন । তার মৃত্যু চলচ্চিত্র জগতে এক 'সদমা'। এক অভিঘাত । সৌন্দর্য আর অভিনয় প্রতিভায় তিনি অনন্য । তার এই হঠাৎ চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, অসময়ে আকস্মিক ভাবে চলে গেলেন শ্রীদেবী ।
অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমার কোনো কথা নেই । ভারতীয় সিনেমার সুন্দরী এবং গুণী অভিনেত্রীর এই আকস্মিক চলে যাওয়ায় শোকাহত ।’
শ্রীদেবীর ভীষণ অনুরাগী চিত্রপরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলী। তিনি বলেছেন, “একজন বড়মাপের তারকা হওয়ার পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত দক্ষ অভিনেত্রী। আর সেটাই ছিল তার হাতিয়ার। মর্মান্তিক, অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা ঘটে গেল। তার প্রয়াণে সিনেমা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।”
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। দীর্ঘদিন মুম্বাইয়ে কাজ করেছেন । শ্রীদেবীর মৃত্যুতে তিনি বলেছেন, “মুম্বাইয়ে অনেকবারই তাকে সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। অত্যন্ত সাদা-মাটাভাবেই থাকতেন। সহজ-সরল মনের একজন মানুষ ছিলেন। অথচ কত বড়মাপের অভিনেত্রী তিনি। তার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলেই মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলছেন, “দারুণ একজন অভিনেত্রী ছিলেন। আসলে ছিলেন বলতে ইচ্ছা করছে না। খুব ভালবাসি ওকে। আমি বিশ্বাসই করব না যে ও নেই। মানবই না শ্রীদেবী প্রয়াত। আমাদের কাছে উনি যেমনটি ছিলেন, তেমনই থাকবেন।”
অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরি বলেন, “শ্রীদেবী নেই, এ নিয়ে আলোচনা নয়, বরং শ্রীদেবী কীভাবে আমাদের মধ্যে রয়ে গেলেন, সে কথাই আজ বলা হোক।
শ্রীদেবীর চোখে এক অদ্ভুত চমক ছিল। শুনেছিলাম কোনও শট দেওয়ার আগে নাকি তিনি চোখ বন্ধ করে থাকতেন। শট শুরু হলেই চোখ খুলতেন। আর তখনই এক অসম্ভব চমক ঔজ্জ্বল্য ছিটকে বের হয়ে আসত তাঁর চোখ থেকে। সেই চমকটা নিয়েই আমি বাঁচতে চাই।
১৫ বছর পর ছবির দুনিয়ায় কামব্যাক করেও যে দর্শকদের মন জয় করা যায়, সেটাও শিখিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী। তার মতো লড়াইয়ের মানসিকতা ক’জনেরই বা থাকে। তার থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার বাকি ছিল। কিন্তু ছোট গল্পের মতো অসম্পূর্ণই রয়ে গেল এই কাহিনি।”
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, এবিপি আনন্দ