ব্যক্তিজীবনে কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী অরিজিতের বার্ষিক আয় ৭২ কোটি রূপি এবং মাসে আয় করেন ৬ কোটির কাছে।
Published : 26 Apr 2024, 01:32 PM
টালিগঞ্জ ও বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করা অরিজিৎ সিং তারকাসুলভ জীবনযাপন পছন্দ করেন না। সাধারণে মিশে থাকাতেই তার ঝোঁক বেশি। কিন্তু সম্পত্তির হিসেবে অনেককে টেক্কা দিতে পারেন এই গায়ক।
সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, ব্যক্তিজীবনে কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী অরিজিতের বার্ষিক আয় ৭২ কোটি রূপি এবং মাসে আয় করেন ৬ কোটির কাছে।
বলিউড সিনেমার প্লেব্যাকের জন্য গানপ্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ রুপি নিয়ে থাকেন অরিজিৎ। এছাড়া কনসার্টের জন্য নেন দেড় কোটি রুপি।
হিন্দি সিনেমার শীর্ষ প্লেব্যাক শিল্পীদের একজন হয়েও তিনি মুম্বাইতে থাকেন না। যদিও মুম্বাইয়ে অরিজিতের চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। সেসবের মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা। কাজের মূল জায়গা মুম্বাই হলেও অরিজিৎ থাকেন নিজের গ্রাম মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। সন্তানদের মুম্বাইয়ের স্কুলে ভর্তি করেননি, তারাও পড়ে জিয়াগঞ্জে।
কেবল ফ্ল্যাটই নয়, অরিজিতের গ্যারেজে রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি। সেগুলোর মধ্যে একটি রেঞ্জ রোভার ভোগ, একটি হামার এইচ ৩, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ আছে। কিন্তু চলাচলে অরিজিতের পছন্দ লোকাল ট্রেন। ট্রেনে মাস্ক পরা অরিজিৎকে দেখে অনেক সময় যাত্রীরা চিনতে পারেন, আবার অনেক সময় পারেন না।
কেবল লোকাল ট্রেন নয়, বাহন হিসেবে অরিজিতের পছন্দ স্কুটি। অনেক সময় স্কুটিতে একা বা স্ত্রীসহ ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন এই গায়ক।
কাজ ছাড়া প্রায় পুরোটা সময় জিয়াগঞ্জেই থাকেন অরিজিৎ। বেশ কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত আছেন এই গায়ক।
১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে জন্ম হয় অরিজিতের। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে রিয়েলিটি শো ‘ফেম গুরুকুল’ দিয়ে পরিচিতি পান অরিজিৎ।
কিন্তু খ্যাতির চূড়ায় থাকা এই গায়কের চলার পথ শুরুতে সহজ ছিল না। ২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে ‘ফেম গুরুকুল’ নামের এক রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেরা পাঁচের তালিকায়তেও জায়গা হয়নি তার। পরে অবশ্য অন্যান্য রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নিয়ে আলোয় আসেন অরিজিৎ।
‘ফেম গুরুকুল’ থেকে অরিজিৎ কোনো পুরস্কার না পেলেও, সেখান থেকে তাকে চিনে রাখেন নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া বানসালি তার ‘সাওয়ারিয়া’ সিনেমায় অরিজিৎকে দিয়ে ‘ইউ শবনামি’ গানটি রেকর্ড করান। কিন্তু পরে অবশ্য গানটি থেকে অরিজিৎ কণ্ঠ বাদ দেওয়া হয়। ওই গানটি করেন গায়ক পার্থিব গহিল।
এরপর ২০১১ সালে ‘মার্ডার ২’ সিনেমার ‘ফির মহব্বত’ গান নিয়ে সিনেমার গানে অভিষেক হয় অরিজিতের।
২০১৩ সালে ‘আশিকি ২’ সিনেমায় ‘তুম হি হো’ গান প্রকাশের পর তারকাখ্যাতি পেতে আর দেরি হয়নি অরিজিতের। গান করেছেন একবার আইপিএলের উদ্বোধনী আয়োজনেও।
গানের জন্য একবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন অরিজিৎ। ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন সাতবার, এ ছাড়া ফিল্মফেয়ার বাংলায় সেরা গায়ক হয়েছেন তিনবার।