নির্মাতা কোনো প্রেমের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে 'টাইটানিক'নির্মাণ করেননি। বরং জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে চেয়েছিলেন বলেই সিনেমা বানিয়েছিলেন।
Published : 22 Jun 2023, 04:41 PM
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দেখানোর জন্য ডুব দিয়ে নিখোঁজ হওয়া ডুবোযান টাইটান উদ্ধার নিয়ে যখন নানা তৎপরতা চলছে, তখন হলিউডের খ্যাতিমান পরিচালক জেমস ক্যামেরনের অতীত অভিজ্ঞতা তুলে এনেছে সিএনএন।
জেমস ক্যামেরন কেবল হলিউডের সফল পরিচালকদের একজনই নন,একজন সমুদ্র প্রেমিকও। সমুদ্রের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি ‘টাইটানিক’-এর মতো কালজয়ী সিনেমা বানিয়েছেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘টাইটানিক’ সিনেমা নির্মাণের আগে ক্যামেরন মোট ৩৩ বার সাগরের তলদেশে ডুব দিয়েছিলেন।
২০০৯ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন প্লেবয়কে টাইটানিক নির্মাণের প্রেরণা সম্পর্কে নির্মাতা জানান, কোনো প্রেমের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে 'টাইটানিক' নির্মাণ করেননি তিনি। বরং জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে চেয়েছিলেন বলেই সিনেমাটি বানিয়েছিলেন। ধ্বংসাবশেষ দেখে সিনেমা বানানো তার মূল উদ্দেশ্য কখনই ছিল না।
“সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজ ছিল ধ্বংসের মাউন্ট এভারেস্ট। একজন ডুবুরি হিসেবে যথাযথভাবে তা দেখতে চেয়েছিলাম আমি। আমি যখন জানতে পারি যে, ‘আইম্যাক্স’ সিনেমা তৈরি করার জন্য কয়েকজন ইতিমধ্যেই টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ দেখতে গেছে, তখন ভাবলাম একটি হলিউডি মুভি তৈরি করতে আমিও একই কাজ করব।
“আমি সত্যিই সেই প্রথম অভিজ্ঞতাটি উপভোগ করেছি এবং আরও অনেকবার এটি করতে চেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার চলচ্চিত্র নির্মাণ ও সমুদ্র অনুসন্ধান পরষ্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
২০১২ সালে তিনি এনপিআরকে বলেন, “একজন অনুসন্ধানকারীর কাজই হচ্ছে, মানুষের অভিজ্ঞতা নেই এমন জায়গায় যাওয়া এবং ফিরে এসে তাদেরকে সেই গল্প বলা।”
‘টাইটানিক’ সিনেমা নির্মাণের পরেও সমুদ্রের তলদেশে ক্যামেরন অনুসন্ধান চালিয়ে যান। ২০১২ সালে মারিয়ানা ট্রেঞ্চে অভিযান চালান তিনি, যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গভীরতম স্থানগুলোর একটি।
মারিয়ানা ট্রেঞ্চ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাত মাইল নীচে অবস্থিত। অভিযানটি চালানোর জন্য ক্যামেরন ২৪ ফুট লম্বা একটি ডুবোযান ব্যবহার করেছিলেন, যার নাম ছিল ‘ডিপসি চ্যালেঞ্জার’।
ডুবোযান টাইটানের খোঁজ: নতুন শব্দ শনাক্ত, তল্লাশি এলাকা সম্প্রসারণ
অ্যাভাটার ২ আরও আবেগময়: ক্যামেরন