উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটির ঢাকা সফররত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) অ্যাক্সেল ফন ট্রটসেনবার্গ শনিবার সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশে আসেন ট্রটসেনবার্গ।
এদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের পাঁচ বছরের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএম) খসড়ায় অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে ‘উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর’ অন্যতম বলে জানান ট্রটসেনবার্গ। বিশ্ব ব্যাংক ইতোমধ্যে ২০২৩-২৭ মেয়াদের সিপিএফ এর খসড়াও তৈরি করেছে।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে মেগা প্রকল্পে অর্থায়নের অনুরোধের পাশাপাশি এলডিসি উত্তরণে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় সহযোগিতাও চান অর্থমন্ত্রী।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবেলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে, বিশেষত: করোনাকালীন সময়ে বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবেলা এবং কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্ব ব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারীত্বের উপর গুরুত্বারোপও করেন তিনি।
দ্বিপক্ষীয় এ সভায় বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্রটসেনবার্গ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি দারিদ্র দূরীকরণে ‘অভাবনীয় সাফল্যের’ প্রশংসা করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, কান্ট্রি ডিরেক্টর, আবদুল্লাই শেখ উপস্থিত ছিলেন।