মিতু হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন আরও ১০ জন

এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2023, 01:47 PM
Updated : 6 Nov 2023, 01:47 PM

চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় জব্দ তালিকার আরো ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। 

সোমবার সাক্ষ্য দেন- গোয়েন্দা পুলিশের সেসময়ের এএসআই নজরুল ইসলাম, কনস্টেবল মিল্টন দে, বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তা সোহেল রানা ও ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তারেক হোসেন, জুমাইরা হোল্ডিংস কাতালগঞ্জের ম্যানেজার আতিক হাসান, কেয়ারটেকার সাহাব উদ্দিন, ওয়েল পার্ক হোটেলের ব্যবস্থাপক মঈনুল হাসান, কর্মকর্তা বিশ্বনাথ দাশ, ওয়েল ফুডের আইটি অফিসার শহীদুল আলম ও কর্মচারী আলাউদ্দিন। 

এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হল। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ কালেকশন করেছিলেন। যেসব ভবনের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছিল সেখানকার কয়েকজন জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

“তাদের সবার জেরা শেষে আদালত আগামী ২৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।” 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।

এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’। আর এজন্য খুনিদের ‘লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন’ বাবুল। 

পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়। 

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এরপর গত বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।