চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সকাল থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 06:02 PM
Updated : 12 May 2023, 06:02 PM

বঙ্গোপসাগরের অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের এ বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার তাসনীম হাসান।

শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্দরের জেটিতে অপারেশনাল কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙ্গরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আট নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর মোংলা বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত।

Also Read: ঘূর্ণিঝড় মোখা: এলএনজি সরবরাহ বন্ধ

Also Read: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

Also Read: ঘূর্ণিঝড়: পাঁচ বোর্ডের রোববারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে আটশ কিলোমিটারের মধ্যে হাজির হওয়ায় জারি করা হয়েছে মহা বিপদ সংকেত।

বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে রোববার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস শুক্রবার রাত ৯টার বুলেটিনে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার বদলে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ এই মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অপরদিকে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।