ঢাকার পর চট্টগ্রামে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলাতেও স্টল বরাদ্দ পায়নি প্রকাশনা সংস্থা ‘আদর্শ’।
ঢাকায় বইমেলায় আদর্শকে স্টল না দেওয়াটা এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে চট্টগ্রামের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তারা সেই সঙ্গে সীমিত পরিসরের কথাও বলেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে বুধবার বন্দরনগরীতে শুরু হচ্ছে একুশের বইমেলা। এতে ঢাকার ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে, তার মধ্যে আবেদন করলেও আদর্শ নেই।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত মাসব্যাপী এই মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ।
পাশাপাশি চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মেলা পরিচালনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সিসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু আদর্শের বাদ পড়া নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে বলেন, “এটা প্রকাশনা পরিষদের যারা আছেন, তারা দেখেন। কারণ স্টল বরাদ্দ ও বই বাছাই কমিটিতে তারাই আছেন। আমি বিশদ এ বিষয়ে জানি না।”
এ সময় ঢাকায় বাংলা একাডেমির বইমেলায় আদর্শ স্টল পেয়েছে কি না, তা জানতে চান মঞ্জু।
সেখানে স্টল দেওয়া হয়নি জানালে তিনি বলেন, “বাংলা একাডেমির মেলায় নিশ্চয় কোনো ক্রাইটেরিয়া ছিল, যা তারা পূরণ করতে পারেনি। তাই হয়ত এখানেও পায়নি।”
ঢাকায় একুশের বইমেলায় আদর্শকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। বইমেলার স্টল বরাদ্দ সংক্রান্ত শর্ত মেনে চলতে ‘অস্বীকৃতি জানানোর’ কারণে আদর্শকে মেলায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
মূল বিষয়টি ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইটি নিয়ে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতার এই বইটি নিয়ে আপত্তির কথাও খোলসা করেছে বাংলা একাডেমি।
আদর্শ চট্টগ্রামের বইমেলায় স্টল পেতে আবেদন করেছিল। তবে চট্টগ্রামের আয়োজক কর্তৃপক্ষ স্টল না দেওয়ার কোনো কারণ দেখায়নি বলে আদর্শ’র সিইও মাহাবুব রাহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং মেলার স্টল বরাদ্দ কমিটির সচিব আলী প্রয়াস বলেন, “ঢাকার ৮৯টি প্রকাশনা সংস্থা এবারের মেলায় স্টল চেয়ে আবেদন করেছিল। আমরা ৫০টি প্রকাশনাকে দিতে পেরেছি।
“বাকি প্রায় ৪০টি প্রকাশনাকে স্থান সংকুলান না হওয়ায় স্টল দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রথম কারণ এটি। আর দ্বিতীয় কারণ হল বিতর্কের উর্ধ্বে থাকার জন্য। যেহেতু জাতীয় পর্যায়ে আদর্শকে নিয়ে কথা উঠেছে, তাই আমরা এখানে আদর্শকে স্টল দিইনি।”
চট্টগ্রামের বইমেলায় স্টলের সংখ্যা এবার বেড়ে হচ্ছে ১৪০টি । আগেরবার ছিল ১২০টি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মিলিয়ে ১০৮টি প্রকাশনা সংস্থা এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে।
বুধবার বিকালে মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।