দণ্ডিত আজিমেল কদর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন।
Published : 15 Jun 2023, 09:12 PM
শিক্ষককে বদলি করতে ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
দণ্ডিত আজিমেল কদর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ঢাকার দোহার থানার দক্ষিণ জয়পাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
“পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাস সশ্রম কারাদণ্ড। উভয় সাজা একসাথে কার্যকর হবে।”
রায় ঘোষণার পর আজিমেল কদরকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফটিকছড়ির বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসলিমা আকতার বদলির আবেদন করলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিমেল কদর তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
দুদক চট্টগ্রামের পরিচালকের কাছে এ বিষয়ে শিক্ষক তাসলিমা আক্তারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুল কবির চন্দনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল অভিযান চালায়।দণ্ডিত আজিমেল কদর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ওই অভিযানে শিক্ষক তাসলিমা আকতারের কাছ থেকে আজিমেল কদর ঘুষের ১০ হাজার টাকা গ্রহণের সময় দুদকের দল হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আজিমেল কদরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় দিলেন বিচারক।