একটু বৃষ্টিতে নগরবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যেও চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগছে; সিটি করপোরেশন ও সিডিও এর মধ্যে টানাপড়েনও আছে।
Published : 07 Aug 2023, 08:36 PM
নগর প্রধান নিজেই গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না; গলির মুখ থেকে যেতে হয়েছে তাকে রিকশায় চড়ে। কারণ চট্টগ্রামের মেয়রের বাসার সামনে পানি জমেছে প্রায় কোমর সমান।
এবার দেরিতে শুরু হওয়া শ্রাবণের টানা বৃষ্টির প্রথম দিন শুক্রবার বহদ্দারহাটে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসার গ্যারেজে গাড়ির দরজা পর্যন্ত ডুবে থাকার দৃশ্যের ছবি খবরে এসেছে। পরদিন তার রিকশা করে যাওয়ার দৃশ্যও ছিল আলোচনায়।
সোমবার টানা চতুর্থ দিনের বর্ষণে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর অনেক এলাকা। একটু ভারি বৃষ্টি হলেই নগরবাসীর দুর্ভোগে ডুবে যাওয়ার এমন চিত্র অবশ্য শুধু এ বছরের নয়। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে এ অবস্থা; নানান উদ্যোগ ও পদক্ষেপর ফুলঝুড়ি থাকলেও যা থেকে বাস্তবে পরিত্রাণ মিলছে না। কোথাও কোথাও বুক সমান পানি ঠেলে পথ চলতে হচ্ছে। নিচ তলার বাসিন্দারা থাকছেন পানিবন্দি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি তিন সংস্থার চারটি প্রকল্প চলমান থাকার পরও টানা বৃষ্টিতে গত চারদিন ধরে প্রতিদিন পানিতে ডুবছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা অগ্রগতির যে খবর দিচ্ছেন তাতে আরও এক থেকে দেড় বছরের আগে এমন দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলার আশা দেখা যাচ্ছে না।
জলবদ্ধতার সেই পুরনো কারণগুলোই ঘুরে ফিরে সামনে আসছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খালের কাজ আটকে থাকা, স্লুইস গেট চালু না হওয়া, নতুন খাল খনন শেষ না হওয়া এবং আবর্জনায় খাল-নালা ভরে থাকার কথাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলমান প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতি বৃষ্টির সঙ্গে অস্বাভাবিক উচ্চতার জোয়ারের পানি সরাতে যে অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার দরকার ছিল তা এখনও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিসিসি) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) বলছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে তারা নিজ নিজ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবে। তখন জলবাদ্ধতার সংকট থাকবে না।
তবে নাগরিকদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র মেগা প্রকল্পের কাজ শুরুর পাঁচ বছর পর এখন আবার নতুন করে নানা সমস্যার কথা সামনে আনা হচ্ছে। ‘তদারকহীনভাবে’ কাজ হওয়ায় এসব সমস্যা হচ্ছে এবং জনভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
ভূমি অধিগ্রহণে আটকে খালের কাজ
প্রায় দেড় দশক ধরে প্রকট হওয়া জলাবদ্ধতার সংকট কাটাতে শুরুতে সিটি করপোরেশন নানান পদক্ষেপ নিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এরমধ্যেই নগরীর মধ্যকার বেশির ভাগ খাল দখলের কবলে পড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালে নগরীর ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টি খাল নিয়ে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যেটি বাস্তবায়ন করছে সিডিএ।
প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। সেই মেয়াদও পেরিয়ে গেছে।
জানতে চাইলে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছি ৩৫৯৮ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আমাদের ১০-১২টি খালের কাজ আটকে আছে।
“আগে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ ছিল দেড়গুণ। পরে তা বাড়িয়ে তিনগুণ করা হয়েছে। তাই খরচে বাড়বে। প্রস্তাব আকারে আমরা তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন এই অর্থায়ন কে করবে? বর্ধিত খরচ দেওয়ার মতো সামর্থ্য সিডিএ’র নেই। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে।”
রোববার এ প্রকল্পের কাজের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের মধ্যে ১৬টি খালের কাজ পুরো শেষ। ১০টির কাজ প্রায় শেষ। বাকি ১০টির কাজ চলমান।
“অর্থ বরাদ্দ না পেলে এই ১০টি খালে কাজ শেষ করতে পারব না। খালের দু’পাশে রাস্তা না করতে পারলে, খালের মাঝখান দিয়ে রাস্তা করে কাজ করতে করতে এগোতে হয়। এটা সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য। এতে খাল পাড়ের মানুষ ভোগান্তিতেও পড়েন।”
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় নগরীর চাক্তাই খাল, হিজড়া খাল, চাক্তাই ডাইভারশন খাল, মির্জা খাল, গয়নাছড়া খাল, নোয়া খাল, শীতল ছড়া ঝর্ণা ও ত্রিপুরা খালসহ ১০টি খালের কাজ বাকি আছে বলে জানান তিনি।
নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, ফুলতল, কেবি আমান আলী সড়ক, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ এই এলাকা ঘিরেই জলাবদ্ধতা হয় সবচেয়ে বেশি। পাশপাশি বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আছাদগঞ্জেও জলাবদ্ধতা নিয়মিত ঘটনা।
এরমধ্যে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত চাক্তাই খাল বিস্তৃত বহদ্দারহাট পর্যন্ত। এ খালের পাড়েই রয়েছে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, বহদ্দারহাট, চকবাজার ও বাকলিয়ার পুরো এলাকা। অপরদিকে কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ ও মুরাদপুর এলাকা হিহড়া খাল ঘিরে।
স্লুইস গেইটে আশা
আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. নাঈমুল ইসলাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্লুইস গেট চালুর আগে প্রায় প্রতিদিনই জোয়ারের সময় পানি উঠত। রাস্তাঘাট তলিয়ে যেত। স্লুইস গেট চালুর পর বর্ষায় জোয়ারের সময় পানি ওঠা বন্ধ ছিল। কিন্তু রবি ও সোমবার ফের পানি উঠেছে।
রোববার দুপুরের পর থেকে আগ্রাবাদে পানি বাড়তে শুরু করে। রাত সাড়ে ১১টায় জোয়ার শুরু হয়। রাত ১০টার পর বৃষ্টিও বাড়ে। রাতের মধ্যে আগ্রাবাদের বেশিরভাগ এলাকাওপানিতে ডুবে যায়।
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় স্লুইস গেটও রক্ষা করতে পারেনি আগ্রাবাদকে।
জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পের আওতায় নগরীর মহেশখাল, টেকপাড়া, কলাবাগিচা, ফিরিঙ্গিবাজার ও মরিয়ম বিবি খালে স্লুইস গেট স্থাপন করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী বলেন, “ইতোমধ্যে পাঁচটি স্লুইস গেইট চালু হয়েছে। মহেশখালের স্লুইস গেইটের সুফল পাচ্ছি। শুক্র ও শনিবার অতিবৃষ্টির সাথে অস্বাভাবিক জোয়ার থাকলেও হালিশহর ও আগ্রাবাদ এলাকায় তেমন পানি উঠেনি। শুধু রোববার পানি উঠেছে।
“একইভাবে অন্য স্লুইস গেটগুলো চালু করা গেলে জোয়ারের পানি শহরে ঢোকা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি যোগ হলে জলাবদ্ধতা বেশি হয়।”
কর্ণফুলী নদীর তীরে বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণে ২৭৭৯ কোটি টাকার অন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এতে খালের মুখে ১২টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে আছে চাক্তাই ও রাজাখালীর মত গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাল।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “১২টি গেইটে অবকাঠামোর কাজ হয়েছে। চাক্তাই ও রাজাখালীর বেশিরভাগ কাজ শেষ। কিন্তু আমাদের বোট পাস আসবে নেদারল্যান্ডস থেকে এবং পাম্প ইংল্যান্ড থেকে। আশাকরি আগামী বছর বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে পারব।”
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়ৎদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জোয়ার এলেই আমাদের দোকান-গুদাম সব তলিয়ে যায়। স্লুইস গেইট চালুর জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছি। সেটা হলে আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতাম।”
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী বলেন, “পরীক্ষামূলকভাবে শুক্র ও শনিবার আমরা চাক্তাই এর স্লুইস গেইট ব্যবহার করেছি। কিন্তু ভেতরের পানি পাম্প আউট করার ব্যবস্থা না থাকলে এত বৃষ্টির পানি নামবে কীভাবে? তাই এখনই পুরোদমে চালু করতে পারছি না।”
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্ণফুলী ও হালদা নদীর সঙ্গে যুক্ত নগরীর ২৩টি খালের মুখে স্লুইস গেট নির্মাণের আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে সেগুলোর কোনোটিই এখনও চালু হয়নি।
সিসিসির প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, “সব মিলিয়ে ৪০টি নতুন স্লুইস গেট, এগুলো চালু হলে সুফল মিলবে।”
নতুন খালের জন্য অপেক্ষা
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান মনে করেন বাড়ইপাড়া খাল খনন হলে নগরীর যেসব এলাকায় এখন বেশি জলাবদ্ধতা হয় তা অনেকাংশে কমে যাবে।
তিনি বলেন, “নগরীর লালখান বাজার, জিইসি, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, ষোলশহর, চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকার সব পানি এককভাবে চাক্তাই খালের মধ্য দিয়ে নামে। বাড়ইপাড়া খাল খনন হলে সেই চাপ অনেক কমবে।”
তিন কিলোমিটার এ খাল খননে অনুমোদন পাওয়ার প্রায় সাত বছর পর তিনবার প্রকল্প সংশোধন করে সাড়ে চারগুণ ব্যয় বাড়িয়ে ২০২১ সালে কাজ শুরু করে সিসিসি। ১৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই খাল খননের মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এ বিষয়ে সিসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বাড়ইপাড়া খালের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করতে পারব আশা করি।”
নতুন খাল খনন শেষ না হওয়ার পাশাপাশি খালে আবর্জনা থাকাও জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী।
তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, “সিডিএ প্রকল্পের আওতায় খালগুলোতে সব কাজ করছে। তারপরও আমরা প্রতি বছর তিন-চার কোটি টাকা খরচ করে দুই-তিনবার আবর্জনা তুলি। আবার লোকজন ময়লা ফেলে। শুধু আবর্জনার কারণে সব হচ্ছে তা নয়।”
তদারকির অভাব?
জলাবদ্ধতায় নগরীর বহদ্দারহাটের বাসিন্দা সিটি মেয়র রেজাউলের বাড়িও পানিবন্দি থাকে। শনিবার রিকশায় চড়ে সেই পানি পেরিয়ে বাড়িতে ঢোকার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এ মেগা প্রকল্পে তো মেয়রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ প্রকল্পে কিছু করার মত ক্ষমতাও নেই মেয়রের।
“আমাদের এই অঞ্চলে বিশেষ করে চান্দগাঁও ও বাকলিয়াসহ আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে, এখানে ভরাট হয়ে থাকায় খাল দিয়ে পানি ঠিকভাবে যেতে পারছে না। এখানে চাক্তাই খাল ও বীর্জা খালসহ অন্যান্য খালগুলো পরিষ্কার করতে হবে। তারা একেকটা খাল কতটা গভীর করেছে তা জনগণের জানার অধিকার আছে।”
প্রকল্পের ডিপিপি’তে ১১ লাখ কিউবেক মিটার মাটি উত্তোলনের কথা লেখা আছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “সে পরিমাণ মাটি তুলেছে? মাটি উত্তোলন করা না হলে প্রকল্পের সাফল্য আসবে না।”
কিছুদিন আগে সমন্বয় সভায় প্রকল্প পর্যবেক্ষণে যৌথ টিম গঠন করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই টিম দেখবে কী পরিমাণ মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। খাল কত মিটার গভীর করা হবে।
“যে ওয়ার্ডে কাজ করবে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো কাউন্সিলরকে ডেকেছে? সিডিএ ওনাদের মত কাজ করছে।”
কর্ণফুলী নদী নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। জনদুর্ভোগ কমাতে যে তাড়না প্রয়োজন তা রাজনৈতিক মহল এবং সংশ্লিষ্টদের কারো পক্ষ থেকে নেই।
“মূলত এটার তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই। মেয়র বলছেন, যে ওয়ার্ডে কাজ হচ্ছে সেখানকার কাউন্সিলররা জানে না। তাহলে সরকারি উদ্যোগেই তদারক কমিটি করে দেওয়া উচিত। তাতে কাজে স্বাভাবিক গতি থাকত এবং পরবর্তী ধাপে কি করা হবে তা সহজে নির্ধারণ করা যেত।”
জনভোগান্তিতে কারও দৃষ্টি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এক পক্ষ এক দিকে ঠেলে তো, অন্য পক্ষ আরেক দিকে। দায়িত্ব যার তাকেই পূর্ণাঙ্গ কাজ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী বলেন, “খালের মাটি আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করছি। যতদিন প্রকল্পের দায়িত্ব আমাদের কাছে থাকবে ততদিন তা করে যাব।”
জলাবদ্ধতায় সড়কে গাড়ি রেখে রিকশা নিয়ে বাসায় মেয়র
জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামে এবার ‘ভুগতে হবে কম’, আশা প্রকল্প কর্মকর্তাদের
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের স্লুইস গেইটের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি
চারগুণ ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিতীয়বার উদ্বোধন হচ্ছে বারইপাড়া খাল খননের কাজ