কীটনাশক পানের কথা বললেও বিশ্বাস না করে লোকজন তাকে পিটুনি দেয়, বলছে পুলিশ।
Published : 16 Apr 2025, 09:08 PM
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মিনু আক্তার হত্যা মামলার মূল আসামি তার স্বামী ‘কীটনাশক পানের পর’ হাসপাতালে মারা গেছেন।
বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
মো. মঈনুদ্দিন ফরিদ (৪৪) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে ফিরলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। তখন সে কীটনাশক পানের কথা বললেও বিশ্বাস না করে লোকজন পিটুনি দেয়।
“গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার ভোরে সে মারা যায়। দুই হাসপাতালেই তাকে কীটনাশক পানের চিকিৎসা দেওয়া হয়।”
গত শুক্রবার ভোরে বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রাণ যায় মিনু আক্তারের (৪২)। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনায় বাঁশখালী থানার ওসি বলেন, মিনু ও তার স্বামী মঈনুদ্দিনের মধ্যে কলহ ছিল। যে কারণে মিনু ডোংরা গ্রামে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ইলশায় বাবার বাড়িতে থাকছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার ভোরে মঈনুদ্দিন সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যান বলে মিনুর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন-
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে নারী খুন, স্বামী পলাতক