খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্যই ভবনটি হেলে পড়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।
Published : 18 Jan 2023, 01:39 PM
চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ার পর বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চশমা খাল সংলগ্ন ফেরদৌস প্লাজা নামের চারতলা ভবনটি হেলে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান।
ভবনটির লাগোয়া চশমা খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় খালের ওই অংশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভবন মালিক খোরশেদ আলমের দাবি, খালে দেয়াল নির্মাণের জন্য খনন কাজের কারণেই তার দালান হেলে গেছে।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের খোরশেদ আলম বলেন, তাদের পরিবারের মালিকানাধীন ফেরদৌস প্লাজার একাংশ ১০ দিন আগে ভাঙা হয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য।
ভবনটি ১৯৯০ সালে নির্মাণ করা হয়। এর চার বছর আগে নকশা অনুমোদন করা হয়েছিল। এখন অবশিষ্ট অংশও হেলে গেছে। সিডিএর পারমর্শে এখন পরবর্তী করণীয় ঠিক করার কথা বলছেন খোরশেদ।
ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাশে খালের পাইলিং এর খনন কাজ চলমান। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এ কারণে ভবনটি হেলে গেছে।
“আমাদের কর্মীরা গিয়ে ভবনে কাউকে পায়নি। সবাই নিরাপদে বেরিয়ে গেছে।”
চট্টগ্রামে হেলে পড়া ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে
চারতলা ভবটির নিচতলায় দোকান, দোতলায় দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার, তিন তলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং চার তলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৩৫তম ব্যাচের একটি কার্যালয় রয়েছে।
মঙ্গলবারও ওইসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন সেখানে কাজ করেছেন। তাদের দাবি মঙ্গলবারও ভবনটি ঠিক ছিল। বুধবার সকালে দোকান ও প্রতিষ্ঠান খুলতে গিয়ে তারা দেখতে পান ভবনটি হেলে আছে।
বেলা ১টার দিকে সেখানে গিয়ে ভবনটির মেঝেতে কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা যায়। ভবনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র তখন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। হেলে থাকা ভবন দেখতে স্থানীয়রা আশেপাশে ভিড় করে ছিলেন।
ভবন হেলে পড়ার খবরে পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়েছেন জানিয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভবনে এখন আর কেউ নেই।”
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
ভবন হেলে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ’র অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে গেছে। এর একাংশ খালের জমিতে ছিল। যা কিছুদিন আগে ভাঙা হয়েছে। সরেজমিন দেখে বিস্তারিত জানাতে পারব।”
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নগরীর সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন পার্বতী ফকিরপাড়া এলাকায় খননের সময় গুলজার খাল সংলগ্ন তিনতলা ও দোতলা ভবন দুটি হেলে পড়ে। পরে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।