আগামী মাসে বে টার্মিনালের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সরকারি অনুমোদন পেতে পারে।
Published : 28 Feb 2025, 12:50 AM
বে-টার্মিনাল প্রকল্পে গতি আসছে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেছেন, এ বিষয়ে শিগগিরই ‘সুখবর’ আসতে পারে।
বৃহস্পতিবার বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী মাসে বে টার্মিনালের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সরকারি অনুমোদন পেতে পারে। অনুমোদনের পর বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হবে।
এর মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরুর পথ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন বন্দর চেয়ারম্যান।
দেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক মানের বন্দরের কথা মাথায় রেখে ১০ বছর আগে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এর তিন বছর পর প্রকল্পের সমীক্ষা যাচাই হলেও মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় ২০২৩ সালে। তবে গত বছর সরকার পতনের ধাক্কায় কাজ থমকে যায়।
এর মধ্যে গত বছরের জুনে বে টার্মিনাল প্রকল্পের ব্রেক ওয়াটার তৈরি এবং খনন কাজের জন্য ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছিল বিশ্ব ব্যাংক। এখন সরকারি অনুমোদন পেলে এক দশকের বেশি সময় আগে হাতে নেওয়া এ প্রকল্পের কাজ শুরুর সুযোগ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “বে টার্মিনাল প্রকল্প দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গেইম চেঞ্জার। এই প্রকল্পের জন্য রেলপথ, সড়কপথ এবং নদী যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজন নেই। কারণ সেগুলো ইতোমধ্যে বিদ্যমান।”
বে টার্মিনালে মূলত জাহাজ থেকে কন্টেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানো হবে। খোলা পণ্য সাগরে ওঠানো-নামানো গেলেও টার্মিনাল ছাড়া কনটেইনার ওঠানো-নামানো যায় না।
রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ কনটেইনারে ভরে বিদেশে পাঠানো হয়। আবার শিল্পের কাঁচামালসহ মূল্যবান পণ্য কনটেইনারে করে আমদানি হয়।
এই প্রকল্প এলাকা হবে চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান টার্মিনাল এলাকার চেয়ে বড়। বন্দর জলসীমার শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনের সাগর পাড় থেকে শুরু হবে বে টার্মিনাল প্রকল্পের সীমানা, যা শেষ হবে রাসমণিঘাটের কাছে গিয়ে। মোট তিনটি টার্মিনাল হওয়ার কথা এ প্রকল্পের অধীনে।
মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে বন্দরের বিভিন্ন অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে জাহাজের গড় অবস্থান কাল কমা, বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড হওয়ার বিষয়গুলোও বলেন।
পুরনো খবর
বদলের হাওয়ায় গতিহারা বে টার্মিনাল প্রকল্প