কামাল উদ্দিন নামের শিশুটি সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর ভূমি অফিস সংলগ্ন চশমা খালে পড়ে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে সেই খবর পাওয়া পর সেখানে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ বোস্তামি স্টেশনের লিডার বিপ্লব চন্দ্র মালাকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনো ডুবুরিরা চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত আবর্জনার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে।
“স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে। আবর্জনা সরাতে সিটি করপোরেশন থেকে একটি এক্সক্যাভেটর দিতে বলেছি, যাতে ময়লা সরানো যায়।”
তলিয়ে যাওয়া কামাল ষোলশহর রেল স্টেশন এলাকার আলী কাওসারের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে কামাল সবার ছোট।
কামালের সাথে মো. রাকিব নামে আরেকটি শিশুও সোমবার খালে পড়ে যায়। পরে সে উঠে আসতে সক্ষম হয়।
কামালের বাবা আলী কাওসার সোমবার ওই এলাকায় গিয়ে নিজেই সন্তানের খোঁজ করেন। পরে মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে যায়।
চলতি বছরের ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার মধ্যে ২৫ অগাস্ট মুরাদপুর এলাকায় চশমা খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী। এরপর আর তার খোঁজ মেলেনি।
তার আগে ৩০ জুন ষোলশহরের চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি অটোরিকশা খালে পড়ে গেলে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।
সবশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছাকাছি নাছিরছড়া খালে পড়ে তলিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কয়েক টন আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে ১৯ বছর বয়সী সাদিয়ার লাশ উদ্ধার হয়।
২০১৮ সালের ৯ জুন নগরীর আমিন জুট মিল এলাকায় নালায় পড়ে মারা যায় আল আমীন নামে ৭ বছরের এক শিশু।
পুরনো খবর: