এবার চট্টগ্রামে নালায় পড়ে ছাত্রী নিখোঁজ

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নালায় পড়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন, যাকে উদ্ধারে সোমবার রাত ১টার পরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2021, 07:49 PM
Updated : 28 Sept 2021, 09:22 AM

সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে আগ্রাবাদের শেখ মুজিব সড়ক সংলগ্ন নবী টওয়ারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের উপপরিদর্শক অজয় ধর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

নিখোঁজ সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯) চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।

এর আগে ২৫ অগাস্ট ও ৩০ জুন নগরীর অন্যত্র খালে পড়ে গিয়ে দুজন নিখোঁজ হয়েছিলেন, যাদের আর খোঁজ মেলেনি।

সোমবার রাতে ওই তরুণী নালায় পড়ে যাওয়ার পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধারে চেষ্টা শুরু করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেন। এখনও তারা কাজ করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরাও আছেন।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি ও এক্সক্যাভেটর নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সোমবার রাতে নালায় পড়ে যাওয়া ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ছবি: সুমন বাবু

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রী রাস্তার পাশের বড় একটি নালায় পড়ে যায়। নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তার খোঁজে অভিযান চলছে।“

তিনি জানান, ওই নালায় আবর্জনার বিপুল স্তূপ জমে রয়েছে। আবর্জনার ওই  স্তূপের নিচে পানি আছে। এ কারণে ময়লায় পড়ে ওই ছাত্রী তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নালা থেকে জমে থাকা আবর্জনা তুলে তার নিচে ওই ছাত্রীর খোঁজ করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক অজয় ধর রাত ১টার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই ছাত্রী মামার সঙ্গে চশমা কিনতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে পা পিছলে নালায় পড়ে যান। আবর্জনার স্তূপের নিচে কিছু দেখা গেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। ডুবুরিও নামছে।

সোমবার রাত সাড়ে আটটার পর নগরীতে হালকা বৃষ্টি হয় প্রায় ঘণ্টা খানেক। 

এর আগে ভারি বৃষ্টিতে বন্দরনগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে ২৫ অগাস্ট সকালে মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী।

ওই ব্যক্তি ফটিকছড়ি যাবার উদ্দেশ্যে বাসে উঠতে মুরাদপুর গিয়েছিলেন। এরপর বেশ কয়েকদিন তল্লাশী চালিয়েও তার খোঁজ আর মেলেনি।

চলতি বছরের ৩০ জুন নগরীর ষোলশহর চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে খালের পাশের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় খালে পড়ে যায় একটি অটোরিকশা।

স্রোত থাকায় খালে তলিয়ে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।

এর আগে ২০১৮ সালের ৯ জুন আমিন জুট মিল এলাকায় নালায় পড়ে বৃষ্টির পানির স্রোতে ভেসে যায় শিশু আল আমীন (৭)। পরে তার লাশ উদ্ধার হয়।

২০১৭ সালের ২ জুলাই এম এম আলী সড়কে রয়েল গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন বড় নালায় পড়ে তলিয়ে যান সাবেক সরকারি কর্মকর্তা শীলব্রত বড়ুয়া (৬২)।

পরদিন প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে মিয়াখান নগরে চাক্তাই খালে তার লাশ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন