চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় হালদা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
Published : 24 May 2020, 02:53 PM
রোববার সকাল ৯টার দিকে নদীতে ডলফিনটি ভেসে যেতে দেখে স্থানীয় লোকজন সেটি টেনে পাড়ে তোলে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ডলফিনটির গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কয়েকদিন আগে এটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে উদ্ধারকারীরা জানান, এর মুখে জালের অংশবিশেষ আটকে ছিল।
৮ মে হালদা নদীর হাটহাজারী মদুনাঘাট সংলগ্ন অংশ থেকে একটি ভাসমান ডলফিন উদ্ধার করা হয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যার মৃত্যুহয়েছিল বলে উদ্ধারকারী ও স্থানীয় প্রশাসন জানায়।
এ নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে হালদায় দুটি মৃত ডলফিন উদ্ধার হলো। এর আগে ২১ মার্চ আরেকটি ডলফিন মারা গিয়েছিল আজিমের ঘাট এলাকায়।
রোববার সকালে রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম গ্রাম সংলগ্ন হালদা নদীতে ডলফিনটি ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা।
“জালে আটকা পড়ায় সম্ভবত এটি মারা গেছে। পরে জাল কেটে ডলফিনটি হয়ত ছেড়ে দেয়া হয়। এটি নদীতে ভেসে আসছিল। এলাকার লোকজন দেখতে পেয়ে টেনে পাড়ে তোলে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডলফিনটি প্রায় সাত ফুট লম্বা এবং ৭০ কেজির মত ওজন হতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
“গত কয়েকদিন মা মাছের ডিম ছাড়া উপলক্ষ্যে নদীতে টানা টহল দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এরমধ্যে কোনো ড্রেজার চলেনি। মৃত ডলফিনটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। কীভাবে মারা গেছে সেটি স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে।”
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবীর সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটি কয়েকদিন আগে মারা গেছে। তাই শরীর ফুলে উঠেছে। দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুটের মত হবে।
“হালদায় এখন প্রতিদিনই নিয়মিত টহল চলছে। এটি কর্ণফুলী নদীতে মারা গিয়ে এদিকে ভেসে আসতে পারে। অথবা প্রাকৃতিক নিয়মেই মারা যেতে পারে।”
তবে ডলফিনটির মুখে জাল আটকে থাকার বিষয়টি তিনি দেখেননি। মৃত ডলফিনটি নদী পাড়ে মাটি চাপা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির হিসেব মতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত হালদায় ২৫টি ডলফিন মারা গেল। ২০১৮ সালের তাদের করা জরিপে হালদায় ডলফিনের সংখ্যা ছিল ২০০টির মত।
আরও খবর-