দুপুরে একদল ব্যক্তি গাড়িতে করে গিয়ে কবরস্থানে গাছ উপড়ে ফেলে, কবর ভাঙচুর করে এবং আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন প্রয়াতের স্ত্রী সেলিনা খান।
Published : 17 Sep 2024, 10:08 PM
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাসদের প্রায়ত কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদলের কবর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম সারোয়াতলী গ্রামে প্রয়াতের বাড়িতে কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
দুপুরে একদল ব্যক্তি গাড়িতে করে গিয়ে কবরস্থানে গাছ উপড়ে ফেলে, কবর ভাঙচুর করে এবং আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন প্রয়াতের স্ত্রী সেলিনা খান।
সন্ধ্যায় সেলিনা খান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি একটি ন্যাক্কারজনক কাজ। উনিতো কারো ক্ষতি করেননি। কেন উনার কবরে হামলা করা হয়েছে?
“আমরাতো কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম। সাধারণ লোকজনতো ছাত্রদের এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু যা হচ্ছে তাতো কোন ভাবে মেনে নেয়া যাচ্ছে না।”
বাদল পত্নী সেলিনা খান ঢাকায় বসবাস করেন। বাড়িতে থাকেন প্রয়াত সংসদ সদস্যের ভাইয়েরা।
সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদল আর নেই
সেলিনা খান বলেন, “দুপুরে আমাকে আমার দেবর ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে ছবি পাঠিয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। সিসি টিভি ক্যামেরায় গাড়িটি শনাক্ত হয়েছে বলেও তারা আমাকে জানিয়েছেন।”
সেলিনা খান ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশ কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল, জীবিত মানুষদের অকাতরে হত্যা করে শান্তি হচ্ছে না। এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। এত অন্যায় আল্লাহ সহ্য করবে না। এই বাংলাদেশ আমি অন্তত চাই না…”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, কবরের দেয়ালে লাগানো টাইলস ভাংচুর করা হয়েছে। মাঝখানে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে।
বোয়ালখালী থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট সঙ্গী জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আরও দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এ আসন থেকে।
২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।