গত ২৬ জানুয়ারি নগরীর বান্ডেল সেবক কলোনি থেকে গ্রেপ্তারের পর তাদের আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
Published : 03 Feb 2025, 11:12 AM
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় গ্রেপ্তার ১১ আসামিকে ২৬ নভেম্বর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ওই ১১ আসামিকে সোমবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের পুলিশের কাজে বাধা দান ও হামলার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে বিচারক আবু বকর সিদ্দিক তা মঞ্জুর করলে আসামিদের আবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) এবং দেবী চরণ (৩৬)।
গত ২৬ জানুয়ারি নগরীর বান্ডেল সেবক কলোনি থেকে গ্রেপ্তারের পর তাদের আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
এ মামলার এর আগে আরো ১০ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা হলেন- চন্দন দাস, আমান দাশ, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, দুলর্ভ দাশ, সুমিত দাশ ও সনু মেথর।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় এজাহারে নাম আছে এমন ২১ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত আসামি চন্দন দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য ও রিপন দাশ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।
আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।