বিশ্বকাপের পর আর অধিনায়কত্ব করবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, সেখানে নিজের অবস্থান জানিয়ে রাখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
Published : 11 Nov 2023, 07:47 PM
চরম ব্যর্থ বিশ্বকাপ অভিযান শেষে এখনই নেতৃত্বের বদল নিয়ে প্রশ্ন করাটা হয়তো খুব আদর্শ নয়। তবে পরিবর্তন যখন অবধারিত, তখন সেই প্রসঙ্গ আসাটাও অস্বাভাবিক নয়। নাজমুল হোসেন শান্তর দিকেও সেই প্রশ্ন ছুটে গেল। তিনি খুব একটা বিব্রত হলেন না বা এড়িয়েও গেলেন না। বরং এটিকে আলিঙ্গন করেই জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক হতে তিনি তৈরি।
অধিনায়ক হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেছেন শান্ত এবং ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন। তবে এখানে তিনি কাজ চালাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসানের বদলে। চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক ছিটকে পড়ায় সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব বর্তায় তার ওপরই।
তবে এটিই প্রথম নয়। চলতি বিশ্বকাপে এই পুনেতেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন চোটের কারণে সাকিব না থাকায়।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে তার অভিষেক হয়েছে অবশ্য বিশ্বকাপের ঠিক আগেই। দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি অধিনায়কত্ব করেন। সাকিব সেই সময় ছিলেন বিশ্রামে, তখনকার সহ-অধিনায়ক লিটনও খেলেননি ওই ম্যাচে।
পরে বিশ্বকাপ দলে সহ-অধিনায়ক করা হয় শান্তকে। সেখান থেকেই এখন তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পাওয়ার অপেক্ষা করছেন।
বিশ্বকাপের আগে টি-স্পোর্টসে সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর নেতৃত্বে থাকতে চান না তিনি। বিশ্বকাপে দলের এত ব্যর্থতার পর বিসিবিও নতুন নেতৃত্বের কথা ভাবতে পারে। সব মিলিয়েই নেতৃত্বে পরিবর্তন প্রায় অবশ্যম্ভাবী।
বিশ্বকাপে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে বাংলাদেশ দলের নতুন নেতা হতে নিজের অবস্থানটা জানিয়ে দিলেন শান্ত।
“দুটি ম্যাচেই জিততে পারিনি (বিশ্বকাপে অথিনায়কত্বের)। কিন্তু অনেক কিছুর শেখার ছিল। দুটি বড় দলের বিপক্ষে অনেক চাপ ছিল। আমার মনে হয়, অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে অনেক কাজে দেবে।”
“(অধিনায়কত্ব) বেশ কয়েকদিন ধরে তো করছি। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে করার জন্য প্রস্তুত।”
শেখার কথা বললেন তিনি নিজের ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও। এই বছর ওয়ানডেতে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তিনি। বিশ্বকাপে তার কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক। তবে অনেকটুকুই তিনি পূরণ করতে পারেননি। শুরুটা করেছিলেন অপরাজিত ফিফটি দিয়ে। এরপর টানা ৬ ম্যাচে আউট হয়ে যান দু অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। শেষটা আবার ভালোভাবেই করতে পারেন কিছুটা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে জয়ের পথে খেলেন ৯০ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান আউট হওয়ার আগে করেন ৪৫।
এই বিশ্বকাপ অভিযান থেকে পাওয়া শিক্ষায় নিজেকে আরও সমৃদ্ধ মনে করছেন শান্ত।
অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। বড় বড় দলের বিপক্ষে খেললাম, এরকম আবহে… এই অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে ব্যাটিংয়ে। মাঝে ৫-৬ ম্যাচ একদমই ভালো হয়নি। কী কী ভুল ছিল বা অন্যান্য বড় দলের ব্যাটসম্যানরা টপ অর্ডারে কীভাবে রান করছিল…অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওখান থেকে কীভাবে সামনে উন্নতি করতে পারি, মূল বিষয় হবে সেটা। সামনে যদি সুযোগ আাসে।”