পরপর দুই বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখা বাঁহাতি স্পিনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় শোনালেন তার ক্রিকেট ও জীবনের গল্প।
Published : 18 Feb 2023, 08:55 AM
‘আমার কোনো গল্প নেই’- ফোনালাপের শুরুতেই হাসতে হাসতে বললেন তানভির ইসলাম। তবে পরের প্রায় বিশ মিনিটে তিনি কথার মালা সাজিয়ে মেলে ধরলেন গল্পের ডালি। গতবারের মতো এবারও দারুণ বোলিংয়ে বিপিএল মাতানো বাঁহাতি স্পিনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিরে গেলেন ক্যারিয়ার শুরুর দিনগুলোয়, তুলে ধরলেন নিজের উঠে আসার ঘটনাপ্রবাহ, শোনালেন জীবন-জীবিকার জটিল সমীকরণ ছাপিয়ে শুধু ক্রিকেটেই খুঁজে নেওয়া আনন্দ ও উপভোগের মন্ত্রে এগিয়ে যাওয়ার গল্প।
ডান হাতের তর্জনী মুখের সামনে ও বাম হাতের তর্জনী আকাশের দিকে দেখিয়ে করা তানভিরের উদযাপন এবারের বিপিএলের বড় বিজ্ঞাপন। সেই উদযাপন এবার নিয়মিত দেখা গেছে! বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চতুর্থ শিরোপা জয়ে বড় অবদান তার। ১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। আগের আসরেও কুমিল্লাকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ১২ ম্যাচে নেন ১৬ উইকেট।
দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও ‘এ’ দলের হয়েও খেলে ফেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই স্পিনার। বিপিএল চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের চোখে, এখনই জাতীয় দলে খেলার জন্য প্রস্তুত এই স্পিনার। পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান বলে গেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তানভিরের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
এক দিনের ঝটিকা সফরে বরিশালে যাওয়ার পথে ফোনালাপে তিনি খুলে দিলেন মনের আগল।
আরও একবার বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করলেন, তৃপ্তি কতটা?
তানভির: ভালো লাগছে অবশ্যই। এবার একটা চিন্তা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। গত বিপিএলে আমি ১৬ উইকেট পেয়েছি। এবার চিন্তা ছিল, হয় সমানে থাকব, না হয় ১টা হলেও বেশি নেব। কিন্তু কম হওয়া যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ্ আমার কথা কবুল করেছেন। ১৭ উইকেট পেয়েছি। এটাই লক্ষ্য ছিল।
শুরুতে দুই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না। থাকলে হয়তো আরও বাড়ত উইকেট...
তানভির: শুরুতে দুই ম্যাচ না খেলতে পারায় খুব মন খারাপ হয়েছে। তবে খেললে আরও বেশি উইকেট পেতাম কি না, তা বলা ঠিক নয়। আল্লাহ্ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন।
দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে বড় ভূমিকা রাখলেন। আসরজুড়ে কোচ বা অধিনায়কের কাছ থেকে কেমন বার্তা পেয়েছেন?
তানভির: ইমরুল (কায়েস) ভাই সবসময় আমাকে অনেক সমর্থন করেন। উনি সবসময় আমাকে বলেন, ‘তুই আমার দলের মূল বোলার।’ এরকম কথা শুনলে সাহস বেড়ে যায় অনেক। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ বাঁহাতি স্পিনারই খুব ভালো বোলার। কিন্তু খুব কম বাঁহাতি স্পিনারই এই সমর্থনটা পায়। বিশেষ করে বিপিএলের মতো একটা জায়গায়। অনেক দল বা অধিনায়ক এই ভরসাটা করতে পারেন না। ইমরুল ভাই আমাকে এই ভরসা দিয়েছেন। ফলে আমি নির্ভার হয়ে খেলতে পেরেছি।
(মোহাম্মদ) সালাউদ্দিন ভাই আমাকে অনুশীলনের সময় ধরে ধরে শিখিয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের নাম বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাকে জোরে করতে হবে, কাকে আস্তে করতে হবে বা কাকে পায়ে করতে হবে। এসব পরিকল্পনা ম্যাচে অনেক কাজে এসেছে।
এই দুজনের বাইরে আমি আরেকজনের কথা বলব। আমাদের ফিল্ডিং কোচ (হুমায়ুন কবির) শাহীন ভাই। ক্রিকেটে এরকম আছে না, একেক কোচের কোচিংয়ে একেকজনের বোঝাপড়াটা ভালো হয়। আমার ক্ষেত্রে শাহীন ভাই আমাকে খুব ভালো বোঝেন। আমি শাহীন ভাইয়ের কাছ থেকে এবার অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। হয়তো উনি অনেক বড় কোচ নয়। কিন্তু আমার যেসব ঘাটতির জায়গাগুলো ছিল বা আছে, উনি খুব তাড়াতাড়ি ওগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আপনার এবারের ফিল্ডিংও বেশ ভালো হয়েছে...
তানভির: (প্রশ্ন শেষ করার আগেই) আমি অত ভালো ফিল্ডার নই। বলতে পারেন, গড়পড়তা মানের। আগে আরও খারাপ ছিলাম। এখনও গড়পড়তা আসলে। বাড়িয়ে বলে লাভ নেই। বল দেখিনি, ফ্লাইট বুঝিনি... দৌড় দিয়ে লাফ দিয়েছি, বল হাতে আসায় ওটাই ডাইভ হয়ে গেছে। আমি সবসময় থার্ড ম্যান, ফাইন লেগে ফিল্ডিং করি। কখনও প্রয়োজন পড়লে ভালো জায়গায় (কাভার, পয়েন্ট বা লং অন, লং অফ) ফিল্ডিং করি।
আপনার উদযাপনটাও অন্যরকম। এর পেছনের গল্পটা কি?
তানভির: এটার পেছনে উদ্দেশ্য হলো আসলে... কে কী ভাবে জানি না, তবে আমি এটা ভেবে করি যে, ‘সবাই চুপ করো। আমরা কিছুই না। যা করার আল্লাহ্ করছেন।’ এজন্যই আঙুলটা ওপরের দিকে দেই। অনেকে মনে করে আউটের ইঙ্গিত দিচ্ছি। কিন্তু আমি আসলে ওপরওয়ালার দিকে ইঙ্গিত করি।
বিপিএলে এবার সতীর্থ হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ান, মইন আলির মতো তারকাদের পেয়েছেন। রিজওয়ান আপনার খুব প্রশংসা করেছেন। তার সঙ্গে আলাদা কথা হয়েছে?
তানভির: রিজওয়ান ভাইয়ের কথা বলব, উনি নিজেই একটা আত্মবিশ্বাস। একটা চ্যাম্পিয়ন দল প্রথম তিন ম্যাচ হারলে দলের অবস্থা কেমন থাকে তা সহজেই বোঝা যায়। রিজওয়ান ভাই আসার পরে অনেক কিছুই বদলে গেছে।
উনি যে খুব বিশেষ কিছু করেছেন, তা নয়। উনার বিশেষত্ব হলো কথা বলার ধরনটা। অনেকেই ভালো ভালো কথা বলতে পারেন, বলেন। তবে রিজওয়ান ভাই এমনভাবে কথাটা বলেন যে একটা বিশ্বাস বেড়ে যায়।
নিজের জীবনের অনেক উদাহরণ টেনে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। খুব ভালো মানুষ উনি। হয়তো বড় মনের মানুষ হওয়ার কারণে ক্রিকেটেও এত সফল হয়েছেন।
সুনিল নারাইনের সঙ্গে পরপর দুই আসর খেললেন। তার কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
তানভির: সুনিল আসলে একটু অন্তর্মুখী মানুষ। আমার মনে হয়েছে, ও অনেক কিছু জানে, অনেক কিছু বোঝে। কিন্তু নিজ থেকে তেমন কোনো কথা বলে না। ও হয়তো ভাবে যে, ‘আমি নিজ থেকে কিছু বললে যদি অন্যরকম ভাবে।’ তাই হয়তো বলে না। তবে বোলিং নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে মন খুলেই কথা বলে।
মইন আলি ভাই ঠিক বিপরীত। পুরোপুরি অন্যরকম। ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগেই যেমন... নাইমের (অফ স্পিনার নাইম হাসান) ওভারস্পিন নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছিল। মইন ভাই নিজের বোলিং রেখে পাশের নেটে গিয়ে নাইমের সঙ্গে কাজ করেছেন।
বড় খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্যই আসলে এমন। আমরা যেমন দেখি, আন্দ্রে রাসেল, জনসন চার্লসদের দেখতে অনেক গম্ভীর। আসলে ওদের দেখতেই শুধু এমন মনে হয়। এর বাইরে ওরা এত ভালো মানুষ, এত ফ্রি! ওদের সাথে কাজ করা সহজ।
আপনাকে হয়তো আগেও কথাটি শুনতে হয়েছে। স্পিনার হলেও আপনি নিয়মিত জোরের ওপর বোলিং করেন। গড়পড়তা ৯০-৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বোলিং করেন। স্পিনারদের প্রথাগত আস্তে করার দিকে না গিয়ে এভাবে জোরে করার পথে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কখনও?
তানভির: এটা নিয়ে অহরহই কথা শুনতে হয়। এই বিপিএলেও শুনেছি (হাসি)। তবে আমি প্রতিবারই বলেছি, ‘আমি জোরেই করব। এভাবেই করে যাব। যা হওয়ার হবে।’ কারণ জোরে করেই এত দূর এসেছি। আস্তে করে তানভির হইনি। আমি যদি জোরে করেই বল ঘোরাতে পারি, তাহলে আস্তে করার প্রয়োজন কী!
আপনি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেননি। স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথমবার এলেন ২০১৭ সালে, খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির হয়ে। এর আগের যাত্রাটা কেমন ছিল?
তানভির: আমি শুরু করেছিলাম তৃতীয় বিভাগ থেকে। রায়েরবাজার প্রগতি ক্লাবের হয়ে খেলেছিলাম। তারপর খেলাঘরের হয়ে প্রথম বিভাগ খেললাম। পরে এই দলের হয়েই উঠলাম প্রিমিয়ার লিগে।
আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে কোনো কিছুতে একটা উছিলা লাগে। আমার ক্ষেত্রে সেটি হলেন, আমার কোচ, আমার গুরু সাইফুল (হোসেন) ভাই। খেলাঘরের কোচ ছিলেন। উনি এমনিতে বড় কোনো জায়গায় নেই। তবে উনিই আমার বোলিংয়ের অ্যাকশন থেকে শুরু করে সবকিছু শিখিয়েছেন।
আমি জানি না, উনি কোনো ক্রিকেটার তৈরি করতে পেরেছেন কি না, বা আমাকেও তৈরি করতে পেরেছেন কি না। তবে আমার বেলায় শেষ কথা সাইফুল ভাই-ই। আমি সবার কাছে সবসময় সাইফুল ভাইয়ের কথা আগে বলি।
ক্রিকেটে হাতেখড়ি ঢাকাতেই?
তানভির: হ্যাঁ। এইচএসসি পরীক্ষার পর আমার বাবা বললেন যে, ‘দেখো বাবা, তোমাকে টেকনিক্যাল কাজ শিখতে হবে। হয় প্যারা মেডিকেল নয়তো ডেন্টাল।’ কোনো কিছুই না হলে পুলিশের চাকরি। উনি এটা নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়িও করেছেন।
তখন আমি বাবাকে বলেছি, আমি ক্রিকেট খেলব। আমাকে এক বছর সময় দেন। তখন আব্বু আমাকে দুই বছর সময় দিয়েছেন। আমি দুই বছরের মধ্যে তৃতীয় বিভাগ খেলে প্রথম বিভাগে উঠে যাই। এরপর আর আব্বু পুলিশের চাকরি বা অন্য কিছু নিয়ে কথা বলেননি। হয়তো বুঝতে পেরেছেন, আমার মধ্যে কিছু আছে, ভবিষ্যতে কিছু করতে পারব। তারপর আব্বু ক্রিকেটেই রেখেছেন।
নিজ জেলা বরিশালে ক্রিকেট খেলেননি?
তানভির: নাহ… এসএসসি পরীক্ষার পরে যে দুই-তিন মাস ছুটি থাকে। তখন আমি রায়েরবাজার ক্লাবে প্রথম ক্রিকেট বলে অনুশীলন করি। এর আগেও টুকটাক ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু ক্রিকেট বলে সেটাই প্রথম। পরে এইচএসসি দিয়ে তৃতীয় বিভাগ খেলি।
তৃতীয় বিভাগে খেলার সময় একটা মজার ঘটনা আছে। আমি তখনও ক্রিকেট জগৎ সম্পর্কে কিছুই বুঝতাম না। প্রথমবার যখন তৃতীয় বিভাগে খেলি, টুর্নামেন্ট শেষে তো একটা পারিশ্রমিক দেয়! আমাকে ক্লাব থেকে ফোন করে বলল যে, ‘তুমি এসে তোমার খেলার টাকা নিয়ে যাও।’ আমি তখন তাদের বলি, ‘আপনারা রেখে দেন। আমার লাগবে না।’
আমি আসলে বুঝিইনি যে, এটা আমার পারিশ্রমিক (হাসি)। আমি মনে করেছি, উনারা খুশি হয়ে দিচ্ছেন। তাই নিতে চাইনি শুরুতে। এটা যে আমার আয় তা বুঝতেই পারিনি। আসলে আমার মাথায় টাকার কথা ছিলই না। নিয়মিত খেলছি, মজা পাচ্ছি। এতেই আমার সব আনন্দ ছিল। তারপর তো ধীরে ধীরে পেশাদার ক্রিকেটের সব বুঝতে শুরু করলাম।
বাবার কথা বলছিলেন, বিপিএল ফাইনালের পর কথা হয়েছে তার সঙ্গে?
তানভির: আব্বু আসতে চেয়েছিলেন মাঠে। আমিই বারণ করেছি।
কেন!
তানভির: কারণ দেখেন মাঠে ভালো খেললেও গালাগালি শুনতে হয়, খারাপ খেললে তো কথাই নেই। দেখা যায়, ভালো বোলিং করলেও একটা বাজে ফিল্ডিংয়ে অনেক কথা শুনতে হয়। যত যা-ই হোক, বাবা তো সামনে বসে এসব সহ্য করতে পারবেন না। এজন্য আমি তাকে আসতে বারণ করেছি।
ক্রিকেটে আপনার ভবিষ্যৎ কোন পথে দেখেন? পরপর দুটি বিপিএলে ভালো করলেন, গত ঢাকা লিগেও পারফর্ম করেছেন। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করছেন। এইচপি, ‘এ’ দলেও খেলেছেন। সামনে হয়তো জাতীয় দলের দরজাও খুলবে...
তানভির: (প্রশ্ন শেষ করার আগেই) আমার জীবনে কোনো আক্ষেপ নেই যে, এটা করতে হবে বা ওটা পেতে হবে। একটা জিনিস নিয়ে মাঝেমধ্যে অনেক মন খারাপ হয়। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তবে কখনও অভাবে ভুগিনি। যা-ই চেয়েছি, সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আমার বাবা। কিন্তু আমাকে বিসিবি যা দিয়েছে, তা আমার বাবা-মা দিতে পারতেন না।
আমাকে দিয়ে কিছু একটা হবে, এই বিশ্বাস থেকে বিসিবি আমার ওপর অনেক বিনিয়োগ করেছে। প্রায় ৪ বছরের মতো এইচপি ক্যাম্পে রেখেছে। এটি নিয়েই মাঝেমধ্যে খারাপ লাগে যে, বিসিবি এত বছর আমার পেছনে এত কিছু ব্যয় করল, কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত বিসিবিকে কিছুই দিতে পারিনি। এ দিক থেকে একটু খারাপ লাগে।
এর বাইরে আমার কোনো আক্ষেপ নেই যে জাতীয় দলে যেতে পারলাম না বা কেন পারলাম না, কিংবা কবে যাব। আমার কাজ খেলা। পারফর্ম করতে পারলে ভালো। না করতে পারলে আবার চেষ্টা করে যাব।
এখনও সুযোগ হয়নি, তবে সামনে সময় আছে। তখন নিশ্চয়ই আশা থাকবে প্রতিদান দেওয়ার?
তানভির: অবশ্যই! আল্লাহ যা কপালে রেখেছেন, সেটিই হবে। আমি চেষ্টা করব।
জাতীয় দলে ঢুকলে নিশ্চয়ই বাবাকে আসতে বলবেন মাঠে!
তানভির: আব্বু কখনও মাঠে বসে আমার খেলা দেখেননি। অনেকবার বলেছেন, মাঠে আসার কথা। আমি বারণ করে দিয়েছি। বারবারই বলেছি, কোনো দিন যদি জাতীয় দলে খেলি, তখন হয়তো দেখা যাবে।