আইপিএলের মাঝমাঝি এসে গুজরাট টাইটান্সে সুযোগ পেলেন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার।
Published : 18 Apr 2025, 08:16 AM
গ্লেন ফিলিপসের দুর্ভাগ্যই দাসুন শানাকার জন্য বয়ে আনল সৌভাগ্য। নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডারের বদলি হিসেবে গুজরাট টাইটান্সে জায়গা পেলেন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার।
আগ্রাসী ব্যাটিং আর কার্যকর মিডিয়াম পেস বোলিং মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় মোটামুটি চাহিদা আছে শানাকার। তবে আইপিএলে সুযোগ খুব একটা পান না তিনি। ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটারের আইপিএল অভিজ্ঞতা স্রেফ তিন ম্যাচের। ২০২৩ আসরে গুজরাটেই খেলেছিলেন তিনি। তিন ম্যাচে রান করেছিলেন মোট ২৬, বোলিং করার সুযোগ পাননি।
এবার সেই পরিসংখ্যান বদলানোর সুযোগ তিনি পাবেন, যদি জায়গা পান একাদশে। নিলামে দল না পাওয়া অলরাউন্ডারকে ভিত্তিমূল্য ৭৫ লাখ রুপিতে নিয়েছে গুজরাট।
ফিলিপসকে হারানো অবশ্য দলটির জন্য বড় ধাক্কা। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং মিলিয়ে যে কোনো দলের জন্যই বড় সম্পদ এই কিউই অলরাউন্ডার। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মেও ছিলেন তিনি জাতীয় দলের হয়ে। তবে দলীয় কম্বিনেশনের কারণে আসরের শুরুতে সুযোগ পাচ্ছিলেন না গুজরাটের একাদশে। পরে বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করতে নেমে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন ২ কোটি রুপিতে দল পাওয়া এই ক্রিকেটার।
ফিলিপস ছিটকে পড়ার পর বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে খানিকটা সঙ্কটেই পড়েছিল গুজরাট। দুই ম্যাচ খেলেই ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে গেছেন কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার কবে ফিরবেন, সেই নিশ্চয়তা নেই।
রাবাদা চলে যাওয়ার পর মূলত তিন বিদেশি নিয়েই খেলছিল দলটি- জস বাটলার, শেরফেইন রাদারফোর্ড ও রাশিদ খান। এখন শানাকা যোগ হওয়ায় একটু বাড়ল বিকল্প।
এছাড়া দলে আছেন আফগান অলরাউন্ডার কারিম জানাত ও দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার জেরল্ড কুটসিয়া। দুজনের কেউই এখনও খেলার সুযোগ পাননি।
বিদেশি ক্রিকেটারের স্বল্পতা থাকলেও অবশ্য ছয় ম্যাচের চারটি জিতে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আছে ২০২২ আসরের চ্যাম্পিয়ন ও ২০২৩ আসরের রানার্স আপ দলটি।