জিম্বাবুয়ে সফরে টস হেরেই চলেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই টস জেতেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচ টস জিতলেন রেজিস চাকাভা। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও তিনি নিলেন বোলিং।
সিরিজে টিকে থাকার লড়াই
৯ বছর ও ১৯ ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম হারের পর সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতেই দলটির বিপক্ষে কোনো সিরিজ হেরেছিল তারা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া একটায় শুরু হবে ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিং একদমই ভালো হয়নি। হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ, হাত ফস্কে হয়েছে বাড়তি রান। বোলিংও ভালো হয়নি, সঠিক লাইন ও লেংথ খুঁজে পাননি বোলাররা। ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন কম নয়। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থমকে গিয়েছিল রানের চাকা। শেষ ৫ ওভারে ওঠেনি প্রত্যাশিত ঝড়। তিন বিভাগেই অনেক উন্নতি প্রয়োজন সফরকারীদের।
ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া ও ছন্দে থাকা সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরি ও তাদের প্রায় দুইশ রানের জুটিতে প্রথম ম্যাচে বাজিমাত করেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে একের পর এক সিরিজ হারা দলটির সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ সুযোগ।
চোটের জন্য বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন অনিবার্য ছিল। হলো তিনটি পরিবর্তন, বোলিংয়ে শক্তি বাড়াল তামিম ইকবালের দল। সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন ছন্দে থাকা ওপেনার লিটন দাস। এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে না বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। বাদ পড়েছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।
লিটনের জায়গায় দলে ফিরেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মোসাদ্দেকের জায়গায় ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
চোট কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি দিয়ে এবারের সফরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা তরুণ পেসার মাহমুদুল হাসান ফিরেছেন ওয়ানডেতে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশের মতো চোট সমস্যা ভোগাচ্ছে জিম্বাবুয়েকেও। ৫ উইকেটে জেতা ম্যাচ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে স্বাগতিকরা। ফিরেছেন টাডিওনাশে মারুমানি, টাকুডজোয়ানাশে কাইটানো ও টানাকা চিভাঙ্গা। অভিষেক হচ্ছে টনি মুনিয়োঙ্গা ও ব্র্যাড ইভান্সের।
এই ম্যাচে নেই তারিসাই মুসাকান্দা, মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগারাভা।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: রেজিস চাকাভা (অধিনায়ক), ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধেভেরে, সিকান্দার রাজা, লুক জঙ্গুয়ে, ভিক্টর নিয়াউচি, টাডিওনাশে মারুমানি, টাকুডজোয়ানাশে কাইটানো, টানাকা চিভাঙ্গা, টনি মুনিয়োঙ্গা, ব্র্যাড ইভান্স।
আগের ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এনামুল হকের সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে সেই পথেই আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
নবম ওভারে ভিক্টর নিয়াউচিকে চার মেরে দল ও জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান তামিম, ৫৩ বলে। পরের বলে মারেন আরেকট বাউন্ডারি।
হয় ‘ডট’ নয়তো বাউন্ডারি। এভাবে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক ডট খেলেছেন ৪০ বল!
পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৬২। এর ৫০ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে।
৪৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে তামিমের ব্যাট থেকে ১০ চার ও এক ছক্কা। অর্থাৎ ৪৬ রানই বাউন্ডারি থেকে। ১৬ বলে ১০ রান করা এনামুলের ব্যাট থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি।
টানাকা চিভাঙ্গাকে পুল করে ওড়ানোর চেষ্টায় থামলেন তামিম ইকবাল। ৭১ রানে ভাঙল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।
চিভাঙ্গার বাড়তি বাউন্সের জন্য টাইমিং করতে পারেননি তামিম। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে কিছুটা দৌড়ে ক্যাচ জমান টাকুডজোয়ানাশে কাইটানো
৪৫ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় তামিম করেন ৫০। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হয়েছিলেন ৬২ রান করে।
১১ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৭১। ক্রিজে এনামুল হকের সঙ্গী দলে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ক্যাচ দেওয়ার পর দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে থামলেন এনামুল হক।
টানাকা চিভাঙ্গার বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলারের হাত ছুঁয়ে লাগে স্টাম্পে। সে সময় কিছুটা এগিয়ে ছিলেন এনামুল। ২৫ বলে তিন চারে তিনি করেন ২০।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭৭। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
নবম ওভারে দলের রান ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ। একশ হলো ১৮তম ওভারের প্রথম বলে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের বিদায়ের পর দলকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৮ওভারশেষেবাংলাদেশেররান২উইকেটে১০৪।শান্ত২৪বলে৪টিচারে২২ওমুশফিক১৪বলে৯রানেখেলছেন।
নবম ওভারে দলের রান ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ। একশ হলো ১৮তম ওভারের প্রথম বলে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের বিদায়ের পর দলকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১০৪। শান্ত ২৪ বলে ৪টি চারে ২২ ও মুশফিক ১৪ বলে ৯ রানে খেলছেন।
ভালো শুরুর পর কাছাকাছি সময়ে ২ ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশকে টানছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনে ৬০ বলে গড়েছেন ৫০ রানের জুটি।
২৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২৭। শান্ত চারটি চারে ৩৮ বলে খেলছেন ২৯ রানে। ৩০ বলে ১ চারে মুশফিকের রান ২৫।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আর এগোলো না জুটির রান। থিতু হয়ে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে ভাঙল নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার সম্ভাবনাময় জুটি।
অফ স্পিনার ওয়েসলি মাধেভের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে।
৩১ বলে এক চারে ২৫ রান করেন মুশফিক। ওভারের বাকি পাঁচটি বল ডট খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
২৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১২৭। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
লিটন দাসের চোটে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। দলকে চাপে ফেলে বিদায় নিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ওয়েসলি মাধেভের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে খোঁচা মেরে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন শান্ত। আগের সেরা ৩৭ ছাড়িয়ে তিনি থামেন ৩৮ রানে।
শান্তর ৫৫ বলের ইনিংসে চার পাঁচটি।
৩০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৫১। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ হোসেন।
এক সময়ে রান রেট নেমে গিয়েছিল পাঁচের নিচে। সেটা আবার পাঁচে নিয়ে এলেন আফিফ হোসেন। এই পরিক্রমায় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়লেন পঞ্চাশ রানের জুটি, ৫৮ বলে।
জুটিতে আফিফের অবদান ৩০ বলে ৩৩। মাহমুদউল্লাহর ২৬ বলে ১৫।
৩৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৯৮। চারটি চারে ৩৩ রানে ব্যাট করছেন আফিফ। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ২৬।
এক সময়ে রান রেট নেমে গিয়েছিল পাঁচের নিচে। সেটা আবার পাঁচে নিয়ে এলেন আফিফ হোসেন। এই পরিক্রমায় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়লেন পঞ্চাশ রানের জুটি, ৫৮ বলে।
জুটিতে আফিফের অবদান ৩০ বলে ৩৩। মাহমুদউল্লাহর ২৬ বলে ১৫।
৩৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৯৮। চারটি চারে ৩৩ রানে ব্যাট করছেন আফিফ। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ২৬।
বাংলাদেশ রান একশ ছুঁয়েছিল ১৮তম ওভারে, রান দুইশ হলো ৪০তম ওভারে। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের রান রেট ছিল ছয়ের উপরে, এক পর্যায়ে সেটা নেমে এসেছিল ৪.৭৫-এ।
আফিফ হোসেনের ব্যাটে রান রেট পাঁচের উপরে গেছে। তবে এখান থেকে তিনশ রান অনেক দূরের পথ। এরপর আর কোনো বিশেষজ্ঞ নেই। তাই মাহমুদউল্লাহ ও আফিফের উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২০৬। ৩৪ বলে ৩৫ রানে খেলছেন আফিফ। ৫০ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ২৭।
দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা আফিফ হোসেনকে ফেরানোর একটা সুযোগ হাতছাড়া করলে জিম্বাবুয়ে। ব্র্যাড ইভান্সের বল লেগে খেলে দুই রানের চেষ্টায় ছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। বলের পিছু ছুটছিলেন বোলার তবে তিনি নাগাল পাননি। সীমানা থেকে ছুটে এসে থ্রো করেন ওয়েসলি মাধেভের। তবে বল মুঠোয় জমাতে পারেননি সিকান্দার রাজা। বেঁচে যান বেশ দূরে থাকা আফিফ।
সে সময় ৪১ রানে ছিলেন আফিফ।
৪৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২২৯।
আগের ওভারে রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে সিকান্দার রাজা বোলিংয়ে এসেই পেলেন আফিফ হোসেনের উইকেট। ভাঙলেন ৮২ বল স্থায়ী ৮১ রানের জুটি।
অফ স্পিনারের বল রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন আফিফ। ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি, সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে।
৪১ রানে জীবন পাওয়া আফিফ ফিরলেন ওই রানেই। তার ৪১ ইনিংস গড়া চারটি চারে। তার বিদায়ে তিনশ রান আরও অনেক দূরের পথ হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য।
৪৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২৩৩। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট পেলেন সিকান্দার রাজা। অফ স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১২ বলে দুই চারে তিনি করেন ১৫ রান।
৪৬ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৪৯। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তাসকিন আহমেদ।
টানা তিন ওভারে তিন উইকেট পেলেন সিকান্দার রাজা। এর দুটি এলবিডব্লিউ।
মেহেদী হাসান মিরাজের পর বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন তাসকিন আহমেদ। ২ বলে তিনি করেন ১ রান।
৪৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২৭৩। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবালের ফিফটিতে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
ভালো শুরুর পর দিক হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ২৯০ রান।
তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৮৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ৫০ বলে তার রান ছিল ২৭। এরপর রানের গতি বাড়িয়ে দলকে নিয়ে যান তিনশ রানের কাছে।
শেষ ওভারে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভিক্টর নিয়াউচির প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েন তাইজুল ইসলাম। শেষ বলে রান আউট হয়ে যান শরিফুল ইসলাম। মাঝে একটি ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ, আগের ওভারে লুক জঙ্গুয়েকেও মেরেছিলেন একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯০/৯ (তামিম ৫০, এনামুল ২০, শান্ত ৩৮, মুশফিক ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৮০*, আফিফ ৪১, মিরাজ ১৫, তাসকিন ১, তাইজুল ৬, শরিফুল ১; ইভান্স ৭.৪-০-৬৪-০, নিয়াউচি ৮-০-৩৯-১, চিভাঙ্গা ৮.২-০-৪৯-১, রাজা ১০-০-৫৬-৩, মাধেভের ৯-০-৪০-২, জঙ্গুয়ে ৭-০-৪০-০)
শুরুতেই ভাঙল জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি। ১৬ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেন হাসান মাহমুদ। ফিরিয়ে দিলেন টাকুডজোয়ানাশে কাইটানোকে।
অফ স্টাম্পের বাইরের চমৎকার এক ডেলিভারিতে শুরুর জুটি ভাঙেন হাসান। আরও বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েন কাইটানো।
১ওভারেজিম্বাবুয়েররান১উইকেটে২।ক্রিজেটাডিওনাশেমারুমানিরসঙ্গীআগেরম্যাচেরসেঞ্চুরিয়ানইনোসেন্টকাইয়া।
পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট পেলেন হাসান মাহমুদ। চমৎকার এক ডেলিভারিতে বিদায় করে দিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া গুড লেংথ ডেলিভারিতে একটু আউট সুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। জায়গায় দাঁড়িয়ে শরীর থেকে বেশ দূরের বল খেলার চেষ্টায় সফল হননি কাইয়া। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
৭ বলে এক চারে ৭ রান করেন কাইয়া।
৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ২ উইকেটে ১৩। ক্রিজে টাডিওনাশে মারুমানির সঙ্গী ওয়েসলি মাধেভেরে।
আগের বলেই জোরাল আবেদন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। পরের বলে আর পারলেন না, বিদায় নিলেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
মেহেদী হাসান মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন মাধেভেরে। তবে আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ভীষণ ক্ষুব্ধ দেখায় বোলারকে। এগিয়ে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
সিরিজে ডিআরএস না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই নেই রিভিউয়ের সুবিধা।
পরের বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন মাধেভেরে। এবার আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ১৬ বলে ২ রান করেন মাধেভেরে।
৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৩ উইকেটে ২৭। ক্রিজে টাডিওনাশে মারুমানির সঙ্গী আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক সিকান্দার রাজা।
প্রায় তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৩ উইকেটে ৩০। ৩০ বলে ১৮ রানে খেলছেন টাডিওনাশে মারুমানি। ৫ বলে সিকান্দার রাজার রান ১।
দুটি উইকেট নিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ, অন্যটি মেহেদী হাসান মিরাজ।
ইনিংসের শুরুতে সহজ রান দিচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে বাউন্ডারি কেবল চারটি।
বল হাতে বেশ অপেক্ষা করতে হলো, তবে উইকেট পেতে নয়। নিজের প্রথম ওভারেই ওপেনার টাডিওনাশে মারুমানিকে বিদায় করে দিলেন তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য হাঁসফাঁস করছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। এর মধ্যেই তাদের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন তাইজুল।
বাঁহাতি এই স্পিনারের বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন মারুমানি। ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় শর্ট কাভারে। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪২ বলে ৩ চারে ২৫ রান করেন মারুমানি।
১৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ৪৯। ক্রিজে সিকান্দার রাজার সঙ্গী রেজিস চাকাভা। আগের ম্যাচে ওপেন করলেও এই কিপার-ব্যাটসম্যান এবার নেমেছেন মিডল অর্ডারে।
দ্রুত ৪ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়েছে সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভার জুটিতে। ৫৫ বলে তাদের জুটির রান ছুঁয়েছে পঞ্চাশ।
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে দ্রুত রান তোলায় চেষ্টায় ব্যস্ত চাকাভা। মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন সিকান্দার রাজা।
২৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১০৯। ২২ বলে তিন চারে ২৭ রানে ব্যাট করছেন চাকাভা। দুই ছক্কা ও তিন চারে জিম্বাবুয়ের রান ৪২। জয়ের জন্য শেষ ২৫ ওভারে ১৮২ রান চাই স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশকে দারুণ ভোগানো সিকান্দার রাজাকে ফেরানোর একটা সুযোগ এসেছিল। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যর্থতায় বেঁচে গেলেন জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
দ্রুত সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হতে বসেছিলেন রাজা। ফিল্ডারের থ্রো দুই হাতে নিতে পারেননি মিরাজ। বল ছিল ডান হাতে কিন্তু তিনি স্টাম্প ভাঙেন বাঁহাতে। তাতে বেঁচে যান রাজা। সে সময় ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
আগের ম্যাচে ৪৩ রানে জীবন পেয়ে খেলেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
২৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১১৬। ২৬ বলে ৩২ রানে খেলছেন চাকাভা। ৬৩ বলে রাজার রান ৪৪।
আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়ে ফেরা সিকান্দার রাজা আবারও দাঁড়িয়ে গেছেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কায় ওড়িয়ে ৬৭ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ।
রাজা ও রেজিস চাকাভার জুটিতে দ্রুত বাড়ছে জিম্বাবুয়ের রান। পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর তাদের ঠেকানোর কোনো পথ যেন পাচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা।
২৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১৩২। ৬৯ বলে ৫১ রানে খেলছেন রাজা। ৩২ বলে চাকাভার রান ৪০।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙতে বারবার বোলার পাল্টেও কোনো লাভ হচ্ছে না। দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
আক্রমণে ফিরে চাকাভার ব্যাটে টানা চারটি চার হজম করেছেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় চারে চাকাভা ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ, ৩৬ বলে।
এই ওভারেই একশ ছুঁয়েছে জুটির রান, ৮৭ বলে।
৩০ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১৫৭। ৩৮ বলে ৫৮ রানে ব্যাট করছেন চাকাভা। ৭৫ বলে ৫৮ রানে ব্যাট করছেন সিকান্দার রাজা। জয়ের জন্য শেষ ২০ ওভারে ১৩৪ রান চাই স্বাগতিকদের।
মন্থর ব্যাটিংয়ে রান একশ ছুঁয়েছিল ২৫তম ওভারে। এরপর রানের গতি বেশ বাড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। দুইশ রান এসেছে ৩৮তম ওভারেই।
বাংলাদেশের বোলারদের যেন বিকল্প কোনো পরিকল্পনা নেই। অনেকটা হাল ছেড়ে দিয়ে যেন ব্যাটসম্যানদের ভুলের অপেক্ষায় আছেন। সেটা খুব একটা করছেন না রেজিস চাকাভা ও সিকান্দার রাজা।
৩৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ২০৫। ৯৮ বলে চার ছক্কা ও ছয় চারে ৯৮ রানে খেলছেন রাজা। এক ছক্কা ও আট চারে ৬২ বলে চাকাভার রান ৮০। জয়ের জন্য শেষ ১২ ওভারে ৮৬ রান চাই স্বাগতিকদের।
পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা জুটি গড়েছেন রেজিস চাকাভা ও সিকান্দার রাজা। গত বছর ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেল গড়েছিলেন ১৫৯ রানের জুটি। সেটা ছাড়িয়ে চাকাভা ও রাজা অবিচ্ছন্ন ১৬৬ রানের জুটিতে।
৩৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ২১৫। ৬৪ বলে ৮২ রানে খেলছেন চাকাভা। ১০৩ বলে রাজার রান ৯১।
আগের ম্যাচের মতোই একই ওভারে সেঞ্চুরি করেছেন জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটসম্যান। সেবার সিকান্দার রাজার সঙ্গী ছিলেন ইনোসেন্ট কাইয়া। এবার অফ স্পিনার অলরাউন্ডারের সঙ্গী রেজিস চাকাভা।
৪২ রানে বেঁচে যাওয়া রাজা ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেছেন সেঞ্চুরি।
৬৭ বলে ফিফটি করা রাজা তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ১১৫ বলে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে চারটি ছক্কা ও সাতটি চার।
হাসান মাহমুদের নিচু ফুলটস ছক্কায় ওড়িয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন চাকাভা, ৭৩ বলে। ওয়ানডেতে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।
সেই ওভারেই ফিল্ডারের মিসফিল্ডিংয়ে দুইশ স্পর্শ করে জুটির রান ১৬৮, বাংলাদেশের বিপক্ষে যা জিম্বাবুয়ের প্রথম।
নিজের শেষ ওভার করতে এসে ১৬৯ বল স্থায়ী ২০১ রানের জুটি ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেজিস চাকাভার ক্যাচ নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
অফ স্পিনার বল লেগে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন চাকাভা। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি, উঠে যায় ক্যাচ। মিড উইকেটে ক্যাচ নেন তামিম।
৭৫ বলে দুই ছক্কা ও ১০ চারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ১০২ রানের ইনিংস খেলেন ক্রেইগ আরভিনের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে জিম্বাবুয়েরকে নেতৃত্ব দেওয়া চাকাভ।
৪৪ ওভারে স্বাগতিকদের রান ৫ উইকেটে ৫ উইকেটে ২৫৫। ক্রিজে সিকান্দার রাজার সঙ্গী টনি মুনিয়োঙ্গা। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে ৩৬ রান চাই জিম্বাবুয়ের।
ফিল্ডিংয়ে কোনো আভাস নেই এই ম্যাচেও। হাত ফস্কে হয়েছে অনেক বাড়তি রান। শেষ পর্যায়ে এসে হাতছাড়া হয়েছে আরেকটু সুযোগ। শরিফুল ইসলামের বলে তাসকিন আহমেদকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান টনি মুনিয়য়োঙ্গা। পরে তিন বলে চারের সঙ্গে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ প্রায় শেষ করে দেন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান।
জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৬ রান চাই জিম্বাবুয়ের।
ফিল্ডিংয়ে কোনো আভাস নেই এই ম্যাচেও। হাত ফস্কে হয়েছে অনেক বাড়তি রান। শেষ পর্যায়ে এসে হাতছাড়া হয়েছে আরেকটু সুযোগ। শরিফুল ইসলামের বলে তাসকিন আহমেদকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান টনি মুনিয়য়োঙ্গা। পরে তিন বলে চারের সঙ্গে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ প্রায় শেষ করে দেন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান।
জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৬ রান চাই জিম্বাবুয়ের।
লম্বা সময় পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের পর হারল প্রথম ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ওয়ানডেতে সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার সেঞ্চুরি এবং তাদের ১৯২ রানের জুটিতে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার রাজা ও রেজিস চাকাভার সেঞ্চুরি ও তাদের ২০১ রানের জুটিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে গেল জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের ২৯০ রান ৫ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
আগের ম্যাচ থেকে উন্নতির ছাপ খুব একটা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও হাতছাড়া করেছে সুযোগ। বোলাররা ধরে রাখতে পারেননি লাইন ও লেংথ। এরই মাশুল দিতে হলো খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে।
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। তার ১২৭ বলের দারুণ ইনিংসটি গড়া চারটি ছক্কা ও আটটি চারে। আগের ম্যাচে ৪৩ রানে জীবন পেয়ে শেষ করে এসেছিলেন ম্যাচ। এবার ৪২ রানে জীবন পেয়ে সারলেন বাকিটা।
৬ রানে জীবন পেয়ে ঝড় তোলে আগেভাগেই ম্যাচ শেষ করে দেন অভিষিক্ত মুনিয়োঙ্গা। ১৬ বলে দুই করে ছক্কা ও চারে তিনি করেন ৩০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯০/৯ (তামিম ৫০, এনামুল ২০, শান্ত ৩৮, মুশফিক ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৮০*, আফিফ ৪১, মিরাজ ১৫, তাসকিন ১, তাইজুল ৬, শরিফুল ১; ইভান্স ৭.৪-০-৬৪-০, নিয়াউচি ৮-০-৩৯-১, চিভাঙ্গা ৮.২-০-৪৯-১, রাজা ১০-০-৫৬-৩, মাধেভের ৯-০-৪০-২, জঙ্গুয়ে ৭-০-৪০-০)
জিম্বাবুয়ে: ৪৭.৩ ওভারে ২৯১/৫ (মারুমানি ২৫, কাইটানো ০, কাইয়া ৭, মাধেভেরে ২, রাজা ১১৭*, চাকাভা ১০২, মুনিয়োঙ্গা ৩০*; মাহমুদ ০-০-০-০, মিরাজ ০-০-০-০, শরিফুল ০-০-০-০, তাসকিন ০-০-০-০, তাইজুল ১০-০-৪৮-১)