লেগ স্পিনে তিনি সময়ের সেরাদের একজন। ব্যাটিংয়ে উন্নতির ছাপও রাখছেন নিয়মিত। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে শুরু হলো টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পথচলা। নেতৃত্বের অভিষেকে ব্যাট-বল দুটিরই ঝলক দেখালেন রশিদ খান। গড়লেন দারুণ এক কীর্তি, টেস্ট ইতিহাসে যে কীর্তি আগে ছিল কেবল তিন জনের।
Published : 07 Sep 2019, 11:59 AM
বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ব্যাট হাতে ফিফটি করেছেন রশিদ, বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকেই এই ডাবল আছে আর কেবল ফ্রাঙ্ক স্ট্যানলি জ্যাকসন, ইমরান খান ও সাকিব আল হাসানের।
অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচ ব্যাটে-বলে এমন স্মরণীয় করে রাখার প্রথম নজির গড়েছিলেন স্ট্যানলি জ্যাকসন। সেই ১১৫ বছর আগে।
১৯০৫ অ্যাশেজে নিজের শেষ সিরিজে অধিনায়কত্ব করার সম্মান পেয়েছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। প্রথম ইনিংস ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। আউট হন শূন্য রানে। পরে মিডিয়াম পেসে ৫ উইকেট নেন ৫২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন অপরাজিত ৮২।
অধিনায়কত্বের অভিষেকে এমন কীর্তি দেখতে টেস্ট ক্রিকেটকে অপেক্ষা করতে হয় আরও ৭৭ বছর। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বার্মিংহ্যাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে ৭ উইকেট নেন ইমরান। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে আউট হয়ে যান ১৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৫।
রশিদের আগে সবশেষ এমন সাফল্য পেয়েছেন সাকিব। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলেন তিনি সহ-অধিনায়ক হিসেবে। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটে ছিটকে গেলে দ্বিতীয় টেস্টে নেতৃত্ব দেন সাকিব।
সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে করেন ১৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ধরা দেয় আরও সাফল্য। ৫ উইকেট নেন ৭০ রানে। এরপর শেষ ইনিংসে রান তাড়ায় খেলেন ৯৭ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
জ্যাকসনের যুগে ম্যান অব দা ম্যাচের রীতি ছিল না। ইমরান ও সাকিব, ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছিলেন দুজনই। রশিদের সামনেও হাতছানি তেমন কিছুর।