জয়ের আশা ছাড়ছেন না মিরাজ

প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ দলের আশা ছিল ‘মিরাকল’ ঘটানোর। দ্বিতীয় দিন শেষে ‘ম্যাজিক্যাল’ কিছু করার। তৃতীয় দিনে ওই সবকিছু মিলিয়ে গেছে হাওয়ায়। পড়ে রয়েছে শুধু বাস্তবতা। যেটি ভীষণ কঠিন। বাংলাদেশ যা পারেনি আগে কখনোই। তবু আশার বিপরীতে আশাই করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যদি অভাবনীয় কিছু ঘটে!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2019, 01:37 PM
Updated : 7 Sept 2019, 02:46 PM

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৭৪ রানে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। উইকেট বাকি এখনও দুটি। চতুর্থ দিনে লিড অন্তত চারশতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আফগানদের।

শেষ দুই জুটিতে যদি আর রান নাও হয়, তবু বাংলাদেশকে গড়তে হবে নতুন ইতিহাস। চতুর্থ ইনিংসে ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই তাদের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল।

টেস্ট ক্রিকেটের ১৪২ বছরের ইতিহাসে এই রানের চেয়ে বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মোটে সাতটি।

বাস্তবতা তাই বলছে, এই টেস্টে বাংলাদেশের সামনে কেবলই আঁধার। মিরাজ তো একটু আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছেন।

“ক্রিকেটে সবকিছুই হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব, যেহেতু আমাদের হাতে দুটো দিন সময় আছে। প্রথম কাজ হলো, দ্রুত ওদের বাকি দুটি উইকেট নেওয়া। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটা হবে ঠিকভাবে বুঝে সেটা পালন করা। অবশ্যই আমি মনে করি, ক্রিকেট খেলায় সবই হতে পারে। জেতা ম্যাচও হেরে যেতে পারে কেউ কিংবা হেরে যাওয়া ম্যাচ সহজেই জিততে পারে। এমন অনেক ঘটনাই আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।”

“আমরা আমাদের প্রসেসে থাকব। ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।  এমন বড় স্কোর তাড়া করতে গেলে, অবশ্যই আমাদের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।”

কিন্তু নিজেদের ইতিহাসে অনন্য নজির দেখিয়ে সত্যিই জয়ের আশা করে বাংলাদেশ? এবার মিরাজের কণ্ঠে একটু বাস্তবতার ছোঁয়া মিলল বটে, তবে আশার সুরও থাকল।

“আমাদের জন্য এই রান তাড়া করাটা সত্যিই কঠিন। তারপরও আমাদের চেষ্টা করতে তো বাধা নেই। আমাদের সুযোগ নিতে হবে। দুই দিন সময় আছে, চেষ্টাটা আমরা করতে চাই। তারপর হেরে যাই কিংবা জিতে যাই, সেটা পরের ব্যাপার। আমাদের হাতে যেটা আছে, সেটা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা।”

আদতে, বাস্তবতা নিশ্চয়ই মিরাজও জানেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে, ক্যামেরা-মাইক্রোফোনের সামনে বসে আশার কথা বলতে হয়। মিরাজ হয়তো কেবল সেই নিয়মই পালন করলেন!