শর্ট বল একসময় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল আতঙ্কের প্রতিশব্দ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের শর্ট বলেই। তবে সেখানে অতীতের ধারা দেখছেন না নিল ম্যাকেঞ্জি। শর্ট বলের ভয় নয়, বরং বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ দেখছেন অতি আত্মবিশ্বাস। আগুনে বোলিংয়ের জবাবে আগুনে ব্যাটিং করতে গিয়েই ভুগেছে বাংলাদেশ।
Published : 17 Dec 2018, 05:26 PM
শর্ট বলে তামিম ইকবালের বিদায় দিয়ে শুরু। তার পথ অনুসরণ করে শর্ট বলেই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। সিলেটের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চার ওভারের মধ্যেই। পরে শর্ট বলে মারতে গিয়েই সাকিব আল হাসান ও সাইফ উদ্দিনের বিদায়ে শেষ দিকে বাংলাদেশ বাড়াতে পারেনি রান।
যেভাবে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন ব্যাটসম্যানরা, ম্যাকেঞ্জির কাছে সেটি গ্রহণযোগ্য নয় মোটেও। তবে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন দেখেই শর্ট বল নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না ব্যাটিং কোচ।
“আমার মনে হয়, সেটি এখন অতীত (শর্ট বলের ভয়)। আমি চিন্তিত হতাম যদি বল ব্যাটসম্যানদের গ্লাভসে ছোবল দিত, কেউ যদি জায়গা থেকে সরে যেত, নাক সমান উঁচু বলে গতিতে পরাস্ত হতো। আজকের ব্যাপারটি ছিল খানিক অতি আত্মবিশ্বাস। প্রথম তিন ডিসমিসালে যদি দেখেন, ১৪০ কিলোমিটার গতির বলে লিটন ডাউন দা ট্র্যাক এসেছে। এটা অনেক সাহস, দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার।”
“তামিম দারুণ ফর্মে ছিল, শর্ট বল চেয়েছিল সামনে খেলতে। সৌম্য শর্ট বলে আমাদের স্বচ্ছন্দ ব্যাটসম্যানদের একজন, কিন্তু তামিমের মতোই করতে চেয়েছিল। এটা স্রেফ আজকের ব্যাপার ছিল, আগ্রাসী বোলিংয়ের জবাব ওরা আগ্রাসনেই দিতে চেয়েছিল। এই উইকেটে উচিত ছিল স্কয়ার লেগে খেলা বা গতিকে কাজে লাগিয়ে পেছন দিকে খেলা। তবে ওরা যেভাবে শর্ট বল সামলেছে, আমার তাতে দুর্ভাবনা নেই। ব্যাপারটি ছিল অতি আত্মবিশ্বাস, আগুনের জবাব আগুনে দেওয়ার চেষ্টা।”
তবে ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা একটুও কমেনি ম্যাকেঞ্জির। স্রেফ বলছেন, দিনটি ছিল না বাংলাদেশের পক্ষে।
“যতগুলি সিরিজ দল জিতেছে, তাতে ছেলেদের মনোবল উঁচুতেই আছে। সব সংস্করণেই ভালো ক্রিকেট খেলছে। আত্মবিশ্বাস তাই আছে। ব্যাটসম্যানদের ওপর আমাদের ভরসা আছে। এটা হতাশার যে তারা একজন আরেকজনের ভুল থেকে শেখেনি আজ। কিন্তু ওদের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। স্রেফ ঝুঁকির মাত্রাটা বুঝতে হবে। দিনটি আমাদের ছিল না। ক্যারিবিয়ানরা ছিল মরিয়া।”