ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা খুশদিল শাহ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার পর জিততে ভুলে যায় রংপুর রাইডার্স।
Published : 03 Feb 2025, 08:08 PM
সপ্তাহখানেক আগে যখন পাকিস্তানে ফিরে যান খুশদিল শাহ, রংপুর রাইডার্স তখন হারিয়ে ফেলে একইসঙ্গে দলের সেরা ব্যাটসম্যান ও সেরা বোলারকে। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় মাঝপথেই ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। দলের সেরা ক্রিকেটারকে হারিয়ে রংপুরও পড়ে যায় হারের চক্রে। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পর দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল বলছেন, খুশদিলের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তারা।
টানা আট জয়ে বিপিএলে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর। সেই অপ্রতিরোধ্য যাত্রায় বড় অবদান ছিল খুশদিলের। এই অলরাউন্ডার চলে যাওয়ার পর আর জয়ের দেখাই পায়নি রংপুর। হারের বৃত্তেই বন্দী থেকে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে সোমবার প্লে-অফ থেকে সবার আগে বিদায় নেয় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
এলিমিনেটর ম্যাচের জন্য আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড ও জেমস ভিন্সকে উড়িয়ে এনেছিল রংপুর। কিন্তু তিন জনের কেউই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ব্যর্থতার জালে আটকা পড়েন দলের বাকিরাও। মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে রংপুরের পরাজয় ৯ উইকেটে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আশরাফুল বললেন, খুশদিলের না থাকা প্রবলভাবে পুড়িয়েছে তাদের।
“আমার মনে হয়, খুশদিলের চলে যাওয়াটা আমাদের বড় একটা সেটব্যাক হয়েছে। (গ্লোবাল সুপার লিগে) গায়ানা থেকে শুরু করে... আমাদের একটা মাস্ট উইন ম্যাচ ছিল। উইকেট খুব কঠিন ছিল। সেদিন সে ৩০ বলে (আসলে ৪২ বলে) ফিফটি করেছিল, ৫টি (আসলে ৪টি) ছক্কা মেরেছিল। আমরা ১১৩ বা ১১৭ রান করেছিলাম।”
“ওই ম্যাচ থেকে... খুশদিল শাহ যাওয়ার পর ওই জায়গাটা আমাদের কোনো ক্রিকেটার নিতে পারেনি। স্থানীয় ক্রিকেটাররা শুরুতে যেমন খেলেছিল, শেষের পাঁচ ম্যাচে তারা সেভাবে ভালো খেলতে পারেনি।”
পুরো বিপিএলের জন্যই খুশদিলকে দলে নিয়েছিল রংপুর। কিন্তু পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুশীলন ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় ১০ ম্যাচ খেলে চলে যেতে হয়েছে তাকে। ফেরার আগ পর্যন্ত ১৭৫.৬৯ স্ট্রাইক রেট ও ৫৯.৬০ গড়ে ২৯৮ রান করেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনে ওভারপ্রতি মাত্র ৬ রান খরচায় শিকার করেন ১৭ উইকেট।
টুর্নামেন্টের প্রথম দশ ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে খুশদিলই ছিলেন রংপুরের সবচেয়ে সফল। হুট করে তার চলে যাওয়ার পর দলের বাকিদের কাছ থেকে ভালো কিছুর আশায় ছিলেন আশরাফুল।
“আমাদের জিএসএল জেতার পেছনে কারণ কিন্তু খুশদিলের আগ্রাসী ব্যাটিং। আমরা ১১৩ রান করেছিলাম, তার মধ্যে সে ফিফটি করেছিল ৩০ বলে (আসলে ৪২ বলে)। এরকম একজন হওয়া উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম শেখ মেহেদি বা সাইফ হাসান বা কেউ হয়তো এরকম আগ্রাসী ইনিংস খেলবে। ওই জিনিসটাই আমরা পাইনি।”