তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞাননির্ভর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ‘পরিকল্পনা’: ঢাবি উপাচার্য

“বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যুগান্তকারী পরিকল্পনা ও কর্মপ্রয়াস গ্রহণ করেছিলেন।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2023, 11:20 AM
Updated : 17 March 2023, 11:20 AM

অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৈরি করে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর অর্ন্তভুক্তিমূলক বাংলাদেশে নির্মাণে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন যুগান্তকারী পরিকল্পনা ও কর্মপ্রয়াস গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটিয়ে শিশু, শিক্ষার্থী ও নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।”

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানমনস্ক, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দিনটি উপলক্ষে সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনটি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতায় ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার শিশুরা অংশ নেয়।

এরকম চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে শিশুরা মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২৩ উদযাপন শুরু হয়।

সকালে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আবাসিক হল ও হোস্টেলের মসজিদ ও উপাসনালয়ে দোয়া, প্রার্থনা ও আলোচনা সভা হয়।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সংগীত বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও রয়েছে।