বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি করা হয়েছে; সেই সঙ্গে কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে, বলেন উপাচার্য মাকসুদ কামাল।
Published : 13 May 2024, 01:50 AM
এশিয়ার সেরা তিনশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদ পড়ে যাওয়ার পর র্যাংকিংয়ে উন্নতির বিষয়ে মনোযোগী হয়েছে দেশের প্রাচীন এ বিদ্যাপিঠ।
যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে, এর মধ্যে যেগুলো উন্নতি করা সম্ভব, সেগুলোর বিষয়ে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। তবে কিছু বিষয়ে কাজ করা কঠিন বলে মনে করছেন উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ইনসাইড আউট এ অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এবার টাইমস উচ্চ শিক্ষা র্যাংকিংয়ে এশিয়ার সেরা তিনশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও জায়গা করে নিতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগের বছর একই প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ নম্বর স্থানে থাকলেও এবার সেখান থেকে পতন হয়েছে আরও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন ছিল, ভারতের ৪০টি, পাকিস্তানের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় এ র্যাংকিংয়ে জায়গা পেলেও বাংলাদেশের কেন একটিও নেই। আগের বছরের চেয়ে কেন এবার এত অবনমন?
ইংরেজি ভাষায় ধারণ করা অনুষ্ঠানটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও সম্প্রচার করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল এই দুই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কোন কোন সূচকের ভিত্তিতে র্যাংকিং হয় এবং বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কারণ কী, তা ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলছেন, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক ও গবেষণার অনুপাত কম থাকা, বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নগণ্য পরিমাণে থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম আয়, শিল্পের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিথস্ক্রিয়া কম থাকাই এর কারণ।
তিনি বলেন, “পাঠদান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার সুনাম, ডক্টরেট স্টাফ সংখ্যা, প্রাতিষ্ঠানিক আয় প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
“যখন আমরা গবেষণার পরিবেশ, সুনাম, গবেষণার আয় এবং উৎপাদনশীলতা নিয়ে আলাপ করি, তখন গবেষণার অধীনে তিনটি সাবএরিয়াকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।”
গবেষণার মানের পরিমাপ করা কীভাবে হয়, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “এটি হয় গবেষণার স্ট্রেংথ, এক্সেলেন্স এবং গবেষণার প্রভাবের উপর ভিত্তি করে। আরেকটি পরিমাপক ধরা হয় আন্তর্জাতিক আউটলুক। তার পরিমাপ করা হয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক শিক্ষক, আন্তর্জাতিক কো-অথরশিপ প্রভৃতি দিয়ে।”
শিল্পের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যোগের বিষয়ে মাকসুদ কামাল বলেন, “ইন্ডাস্ট্রি আয় ও পেটেন্টসের পরিমাণে এটা খুবই নগণ্য।
“কারণ মানসম্মত গবেষণা করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। কেননা মানসম্মত গবেষণা করার জন্য আমাদের মানসম্মত যন্ত্রপাতি, মানসম্মত গবেষণার পরিবেশ প্রভৃতি দরকার। পাশাপাশি দরকার মানসম্মত শিক্ষার্থী।”
কেন কঠিন, তার বর্ণনা দিয়ে উপাচার্য বলেন, “আমাদের বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞানের গবেষণাগারগুলো তুলনামূলকভাবে ভালো। কিন্তু পেটেন্ট পাওয়ার মতো গবেষণা এগুলোর মাধ্যমে করা খুবই কঠিন।”
আয়ের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের কথা বলি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় প্রায় শূন্য। এটা আরেকটা কারণ।”
বাজেট স্বল্পতার কারণে বিদেশি শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকার কথা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “বিদেশি শিক্ষক পেতে হলে, তাদের বেতন দেওয়ার জন্য আমাদের বেশ বড় বাজেট দরকার। বর্তমান বাজেট দিয়ে সেটা করা সম্ভব না। ”
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতেও পিছিয়ে থাকার কথা তুলে ধরে উপাচার্য জানান, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে , একজন শিক্ষকের বিপরীতে ১৭ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী আছে। উন্নত বিশ্বে এটি আরো কম। যে কারণে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকে।
সাইটেশনের সংখ্যাও শিক্ষকের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিছু বিভাগ ও ইনস্টিটিউট আছে, তারা মানসম্মত গবেষণা করতে পারে এবং মানসন্মত গবেষণা প্রকাশ করতে পারে, যা উদ্ধৃত হবে অন্য জায়গায়, যা প্রকাশ হতে পারে হাই-ইমপ্যাক্ট জার্নালে।
“দেখা যায়, কোনো এক শিক্ষকের সাইটেশন সংখ্যা শতাধিক, আবার অনেকের একটাও হচ্ছে না। কিন্তু হিসাব করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাইটেশনকে শিক্ষকের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করা হয়। ফলে মাথাপিছু হিসাবে একেবারে কমে আসে। যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘাটতি।”
এর ব্যবসায়িক দিকও আছে বলে মন দেন উপাচার্য। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে র্যাংকিংয়ে সামনের দিকে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি পরিমাণে বিদেশি শিক্ষার্থী নেয় এবং সেখান থেকে তাদের ভালো অর্থ আসে।
“কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই নগণ্য টাকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে। আমাদের এখানে শিক্ষার্থী আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমাদের কোনো আয় আসে না।”
অন্য অনেক দেশে ‘উচ্চশিক্ষা ফ্রেমওয়ার্কের’ মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যয়ে বাধ্যবাধকতা দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে সে ধরনের কোনো সহায়তার ব্যবস্থা নাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ তৈরির করার পরিমাপকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসাবে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাধিক্যের কথা তুলে ধরেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, “আমাদের এখানে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী আছে। কিন্তু এখানে এমপ্লয়েবিলিটি অতটা বেশি নয়।”
ভারত পাকিস্তান কেন এগিয়ে
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে থাকার কারণ হিসাবে তাদের শিক্ষক নিয়োগ এবং গবেষণার সুযোগের বিষয় তুলে ধরেন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, “ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক থেকে নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। তার পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হয়। যখন কোনো শিক্ষক যোগ দেন, তখন তিনি গবেষণার জন্য ভালো আর্থিক সহায়তা পান। আমাদের দেশে সেই সহায়তা নেই।
“আবার ভারত সরকার যেহেতু শিক্ষার্থীদের বেশ ভালো বৃত্তি দিচ্ছে, পিএইচডি শিক্ষার্থীরা অনেক গবেষণা করছে। তাদের প্রকাশনার পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত গবেষণার জন্য সরকারের কাছ থেকেও গবেষণা সহায়তা পায়।”
ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতার কারণে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন রকম সহযোগিতা সেখানে পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গবেষণার পরিবেশ ও গবেষণা নিয়ে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হওয়ার কথা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “কেননা, বর্তমান সরকার দেশে গবেষণার পরিবেশ উন্নয়ন চায়। যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে। আমরা যদি গবেষণার পরিবেশ উন্নয়ন করতে পারি, এর ফল আমরা ভবিষ্যতে পাব।”
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার ফল দেশটি এখন পাচ্ছে বলেও মত দেন তিনি।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “উচ্চ শিক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। বেশ ভালো পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তারাও গবেষণার জন্য বেশ ভালো বৃত্তি দিচ্ছে। তারা দেশে-বিদেশে গবেষণা করছে।”
ভবিষ্যতে এই সূচকে উন্নতির আশা করে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের দেশে বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। আমি আশা করি আমরা আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও ভালো করব।”
অবনমনের কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি
২০২৩ সালে ১৮৬ তম অবস্থান থেকে এবার তিনশর পরে চলে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “কিন্তু আমরা জানি না কি হয়েছে। গত বছর আমরা দেশের মধ্যে এক নম্বরে ছিলাম, এবার তা অনেক নিচে নেমেছে।
“সেজন্য আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা দেখবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ঘটল আর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বা কী ঘটল।”
‘শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতি গত চার বছরে হয়নি’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনার বিষয় আগে হলেও গত চার বছরে হয়নি বলে দাবি করেছেন উপাচার্য মাকসুদ কামাল।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “পত্রিকায় এ ধরনের খবর কি আপনি দেখেছেন? আমি আপনাকে বলতে পারি গত চার বছরে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতির কোনো উদাহরণ নাই, রাজনৈতিক নিয়োগ বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নেওয়ার উদাহরণ নাই।
“আমি মনে করি, এটা অতীতে কোনো সময়ে ঘটেছে। স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক পরিচয় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় এখন আর নিয়োগের ক্ষেত্রে নেই, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।”
অ্যাকাডেমিক ফলাফল, ভালো জার্নালে গবেষণা প্রকাশ ও আচার-আচরণ দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের প্রধানের কাছে জানতে চাই, সে ভালো শিক্ষক হবে কি-না। কেননা, আমরা যখন কাউকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিই, সে ৪০ বছর ধরে চাকরি করবে। সেজন্য আমরা তার আচার-আচরণ দেখে থাকি।”
তারপর সামগ্রিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে একজনকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা তুলে ধরে মাকসুদ কামাল বলেন, “এর আগে আমি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ছিলাম, তখনও এসব দিক দেখে নিয়োগ দিয়েছি। এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিষয়গুলোই দেখে।”
বিশ্বের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে আলাদা?
র্যাংকিংয়ে সামনের দিকে থাকা বিদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে আলাদা, এমন এক প্রশ্নে নেদারল্যান্ডসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং টোকিও থেকে পিএইচডি অর্জনের অভিজ্ঞতার তুলে ধরেন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।
সব জায়গায় অটোমেশন দেখার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আপনি যখন সবকিছুকে স্বয়ংক্রিয় করবেন, তখন ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।”
রিসার্চ হাব হিসাব গড়ে তোলার জন্য সে পরিমাণের রিসোর্স থাকার প্রয়োজন, সেটিরও ঘাটতি আছে বলে মনে করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, “শিক্ষকদের মান আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষকের পিএইচডি থাকতে হয়। সে কারণে তাদের সক্ষমতাও বেশি থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষকের উচ্চতর ডিগ্রি নাই। শিক্ষা ও গবেষণার পদ্ধতিগত জানাশোনাও অনেকের নাই।”
দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সেখানে মানসম্পন্ন ও পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার কথা তুলে ধরে এক প্রশ্নে মাকসুদ কামাল বলেন, “আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও উচ্চ শিক্ষার প্রকৃতির পাশাপাশি শিক্ষকদের বিষয় বিবেচনায় নিই, তাহলে আমি বলব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার মত পরিস্থিতিতে আমরা নেই।”
তিনি বলেন, “উচ্চশিক্ষা সুযোগের বিষয় নয়, এটা হবে জাতির প্রয়োজনে। এটা হবে গবেষণার জন্য, যা সমাজের-জাতির উপকারে আসবে। আমরা দেখি, আমরা অনেক বেশি শিক্ষার্থী পাচ্ছি, কিন্তু তারা সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না।
“অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সঙ্গে কোনো পার্থক্য থাকছে না। সেই অবস্থা থেকে আমি বলতে পারি, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর মত পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক আমাদের নেই। শিক্ষকদের মান দেখলে আমি ভালো ভবিষ্যৎ দেখি না।”