প্রথম থেকে শুরু করে ২৮ রোজার দিন পর্যন্ত রাজধানীর পাঁচটি কাঁচাবাজার সংলগ্ন স্থান এবং ২৫টি পয়েন্টে এগুলো বিক্রি হবে।
Published : 10 Mar 2024, 02:00 PM
বাজারে চড়া দামের মধ্যে রোজায় কম দামে গরু, খাসি, মুরগির মাংস এবং ডিম, দুধ ও মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রাজধানীর ৩০টি স্থানে রোজার মাসজুড়ে এসব নিত্য খাদ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম রোববার উদ্বোধন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, “রোজায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এই পদক্ষেপ। আশা করি এটি রমজান মাসে বাজারে মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
রোজার প্রথম দিন থেকে শুরু হয়ে ২৮ রোজার দিন পর্যন্ত এসব পণ্য বিক্রি হবে। তবে সোমবার থেকে শুরু করে মাছ বিক্রি হবে ১৫ রোজা পর্যন্ত।
ভ্রাম্যমাণ পিকআপে ঢাকার পাঁচটি কাঁচাবাজার সংলগ্ন স্থান এবং এর বাইরে আরো ২৫টি জায়গায় এগুলো পাওয়া যাবে। তবে মাছ বিক্রি হবে কেবল আটটি জায়গায়।
প্রতিদিন আড়াই টন খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে মন্ত্রণালয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ কেজি করে মাছ কিনতে পারবেন।
যা যা পাওয়া যাবে
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই কর্মসূচিতে তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (১ ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি করা হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে রুই ১৪০, পাঙ্গাস ১৩০, তেলাপিয়া ১৩০, পাবদা ৩৩০, ফিস ফিলেট (রেডি টু কুক) ৩৫০ টাকা কেজি দরে মিলবে ঢাকা মহানগরের আটটি স্থানে।
বিক্রয়কেন্দ্র
নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), কাকরাইল।
এছাড়া মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার) বাজার সংলগ্ন পয়েন্টেও ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে এগুলো বিক্রি হবে।
এর মধ্যে মাছ পাওয়া যাবে কেবল ফার্মগেট (বঙ্গবন্ধু চত্বর), মিরপুর-১ (ইদগাহ মাঠ), সেগুনবাগিচা বাজার, মেরুল বাড্ডা বাজার, মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার), যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট), মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে) এবং পলাশী মোড়ে।
প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে ফ্রিজিং পিকআপ পৌঁছে যাবে বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে। সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। পিকআপের পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি চলবে।
এই কার্যক্রম তদারকির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মত রোজায় কম দামে খাদ্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হক, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মো. গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।