“নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। আজকে (বুধবার) মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হল,” বলেন তিনি।
Published : 09 Oct 2024, 11:52 PM
সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাসে ঊর্ধমুখী মূল্যস্ফীতি থামাতে পেরেছে দাবি করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অধৈর্য না হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যেও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
সুলভ মূল্যে পণ্য পেতে জনগণকে আরও কিছু দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি ১ শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি আমরা মোটামুটি এক জায়গায় থামাতে পেরেছি।”
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ে এসব কথা বলেন।
বাজারে জিনিসপত্রের অনেক দাম- সাংবাদিকরা এমন তথ্য তুলে ধরলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখন কমাবার ব্যাপারে একটু সময় লাগবে। এরই মধ্যে আমরা কিছু ডিসিশন দিয়েছি। তেলের ওপর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়েছি। আজকে চিনির ওপর ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হল।”
তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। আজকে (বুধবার) মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হল। এলএনজি আমদানি, কৃষির জন্য সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপনারা স্বস্তি পাবেন।”
কত দিনের মধ্যে স্বস্তি পাওয়া যাবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “স্বস্তি পাবেন। আপনারা অধৈর্য হয়েন না। এ জিনিসটা কিন্তু অনেক কমপ্লেক্স। মনে করবেন না- মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে হঠাৎ করে। এটার পিছনে অনেক ফ্যাক্টর আছে।”
“এখানে বাজারের ফ্যাক্টর আছে; বাজারে মনিটরিংয়ের ফ্যাক্টর আছে।পণ্য উৎপাদন, পণ্য বিপণন, উৎপাদন করলেও সেটা বিপণনের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপার আছে।”
বাজার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যাচ্ছে না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজি কমেনি, তা নয়। চাঁদাবাজি কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাত বদল হওয়াটা এই মুহূর্তে কমেছে, তা নয়।
সরকারি কেনাকাটা
বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১৩.৯৩ ডলারে এক কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৬৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২০ টাকা। চলতি বছরে এটি ২৮তম এলএনজির চালান।
মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আলোকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৪১৫ ডলার হিসাবে এতে মোট খরচ হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এটি চলতি বছর মরক্কো থেকে সারের সপ্তম চালান।
সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি নিউট্রেন্ট এর কাছ থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৩৫৬.১৭ ডলার হিসাবে এতে মোট খরচ হচ্ছে ১২৮ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার টাকা।
কমিটির সভায় দেশীয় বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো থেকে প্রতি টন ৩৪৩.৩৭ ডলারে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হচ্ছে ১২৩ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে ১০ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তা) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পায়েল ট্রেডার্সের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৯৬ টাকা ৩৯ পয়সা দরে এবার কেনা হয়েছে।