শনিবার আর্থিক অনটনে সার্ভারসহ অফিসের খরচ চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের কারণে আলোচিত এ প্রতিষ্ঠানের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজের এক পোস্টে বলা হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে নিজেদের সার্ভার বন্ধ থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে ‘সুযোগ পেলে’ চার মাসের মধ্যে ‘সকল জটিলতা’ কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেও দাবি করা হয়েছে এ পোস্টে।
অফিসিয়াল এ ফেইসবুক পেইজে আইনজীবীর মাধ্যমে কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের বক্তব্য তুলে ধরে এমন দাবি করা হয়।
গ্রাহকদের সঙ্গে শত শত কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ থাকা ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিন কয়েক দফা রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে আছেন।
গুলশান থানায় এক গ্রাহকের করা মামলায় মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে এর আগেও তাদের নামে কয়েকটি মামলা হয়।
তারা কারাগারে থাকায় ইভ্যালির ব্যাংকিংও সাময়িকভাবে বন্ধ আছে জানিয়ে পোস্টে বলা হয়, “আমাদের সার্ভারসহ, অফিসের খরচ চালানো এবং আমাদের এমপ্লয়িগণের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়গুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
“আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত সিইও’র বক্তব্য হলো- সুযোগ এবং সময় পেলে আমাদের পক্ষে ৪ মাসের মধ্যেই সকল জটিলতা গুছিয়ে উঠা সম্ভব।”
এতে বলা হয়, “ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে দেশের অনলাইন কেনাকাটাকে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। আমরা এই কাজকে এগিয়ে নিতে চাই।
“চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে। আর এই সুযোগ পেলে সকলের সব ধরনের অর্ডার ডেলিভারি দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম, আছি, থাকবো।”
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল,তার হদিস এখনও মেলেনি।
গত জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালির কাছে কয়েক লাখ গ্রাহক ও মার্চেন্টের এমন বিপুল অঙ্কের টাকা পাওনা সৃষ্টি হয়েছে বলে রাসেল দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, প্রকৃত দায় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।
আরও পড়ুন