রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নাদিয়া আক্তারকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় বাস চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তারের সাড়ে তিন মাসেও আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক আল ইমরান রাজন তৃতীয়বারের মত প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে বিচারক নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। ১২ জুন প্রতিবেদন চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এই আদেশ দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
কেন পুলিশ বারবার সময় দিচ্ছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কিছু জানানো না হলেও ভাটারা থানা থেকে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি এখনও হাতে না পাওয়াই এই বিলম্বের কারণ।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে মোটর সাইকেলে থাকা নাদিয়াকে চাপা দেয় ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস।
এই দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হন নাদিয়া। এর এক সপ্তাহ পর তিনি উঠেন উত্তরার একটি হোস্টেলে।
নাদিয়ার মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন ভাটারা থানায় মামলা করেন।
পরদিনই সন্দেহভাজন বাসের চালক বাস চালক মো. লিটন ও তার সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সেদিনই পুলিশের আবেদনে দুই জনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায়। পাশাপাশি ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
সেদিন পুলিশ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে ৩০ মার্চ নতুন তারিখ দেন বিচারক। সেদিনও প্রতিবেদন জমা না পড়ায় বিচারক নতুন তারিখ দেন ১১ মে।
এ মামলায় কেন বারবার সময় নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা আসামিদের খোঁজাখুঁজি করে চাঁদপুর থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
“আমাদের দিক থেকে সব রেডি। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা হাতে না থাকায় চার্জশিট দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করব এই মাসের মধ্যেই প্রতিবেদনটি দেওয়ার।”
ভিক্টর পরিবহনের সেই বাসের চালক ও তার সহকারী এখনও কারাগারে বন্দি।
পুরনো খবর