“গাড়ি নিজের, তেল নিজের, রক্ষণাবেক্ষণ নিজের, ইন্টারনেটও নিজের; তাহলে আমি কেন অ্যাপকে পয়সা দেব?”
Published : 29 Oct 2022, 01:41 AM
”রাইড ক্যান্সেল করে দিন; এই ভাড়াতেই আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি,” ফোন ধরেই বলছিলেন এক বাইক রাইডার।
মহাখালী থেকে ধানমণ্ডি যেতে রাইড শেয়ারের একটি অ্যাপে মোটর সাইকেল খুঁজতে গিয়ে এই বিড়ম্বনার কথা জানাচ্ছিলেন মঈদুল মামুন। বেসরকারি এই চাকরিজীবী জানালেন, এর আগে আরেক চালক ফোন ধরার পর গন্তব্য শুনে সেখানে যেতে চাননি।
বিরক্তি প্রকাশ করে মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, “অ্যাপে এখন মোটরসাইকেল পাওয়া যায় না। মোড়ে মোড়ে মোটরসাইকেল দাঁড়ানো থাকে; সেখানে দাম-দর করে যেতে হয়।”
মামুনের মত বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগে অ্যাপের মাধ্যমে রাজধানীর যে কোনো জায়গা থেকে যাওয়া যেত গন্তব্যে। এখন রাইড শেয়ারের বাইক পেতে রাস্তার মোড়ে যেতে হয়, যেখানে ‘সিন্ডিকেট’ করে চালকরা অ্যাপের চাইতেও বেশি ভাড়া চাইছেন। তাতে পকেট কাটা তো যাচ্ছেই, সেই সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও থাকছে।
রাইড রিসিভ করেও কেন ‘খ্যাপে’ যেতে চাইছেন, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মামুনের ফোন ধরা চালক জাহিদুল ইসলামের কাছে। তার ঝটপট জবাব, “গাড়ি নিজের, তেল নিজের, রক্ষণাবেক্ষণ নিজের, ইন্টারনেটও নিজের; তাহলে আমি কেন অ্যাপকে পয়সা দেব?”
ওইভাবে ‘খ্যাপে’ চলাচল রাইড শেয়ারিং নীতিমালার ‘সম্পূর্ণ পরিপন্থি’ আখ্যায়িত করে এদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বললেন বিআরটিএ-এর রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী।
কিন্তু সামগ্রিক যে পরিস্থিতি, তা কেবল ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ট্রাফিক তেজগাঁও অঞ্চলের উপ কমিশনার (ডিসি) সাহেদ আল মাসুদ।
২০১৬ সালের মে মাসে ঢাকায় প্রথম বাইকে রাইড শেয়ার চালু হওয়ার পর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ওই বছরের শেষ দিক থেকে এ সেবা বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। তবে নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগও ছিল। সেই বাস্তবতায় ২০১৮ সালের শুরুতেই বিআরটিএ-এর রাইড শেয়ারিং নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
রাইড শেয়ারিং: মোটরসাইকেল নিবন্ধনে অনিয়মের ছড়াছড়ি
বছর দুয়েক ভালো চলার পর ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিধিনিষেধের আওতায় বন্ধ রাখা হয় অ্যাপ সার্ভিস। তখন ‘পেটের দায়ে’ খ্যাপে যাত্রী পরিবহনে নামেন কিছু বাইকার। কড়াকড়ি শিথিলের পর অ্যাপভিত্তিক সেবা ফের চালু হলেও দিন দিন বেড়েই চলেছে খ্যাপে চলা বাইকারের সংখ্যা। তবে রাইড শেয়ারে কার সার্ভিস এখনও বেশ জনপ্রিয়।
আপত্তির বড় কারণ ‘কমিশন’
মামুনের ফোন ধরার পর গন্তব্য শুনে যেতে না চাওয়া চালক আলফাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। শাকসবজির ব্যবসা ছেড়ে রাইড শেয়ারের চালকের খাতায় নাম লেখানো এই ‘রাইডার’ জানালেন, দৈনিক ১ হাজার টাকা আয় করতে তেল ফুরায় প্রায় ৩০০ টাকার। অ্যাপে যাত্রীসেবা দিতে গেলে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কমিশনে ২৫০ টাকা দিয়ে দিতে হয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানিকে। আনুষঙ্গিক আরও ১০০ টাকা খরচ ধরলে দিন শেষে থাকে মোটে ৩৫০ টাকা। আর অ্যাপভেদে ২৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ কমিশন দিলে দৈনিক আয় দাঁড়ায় ৫০০ টাকা।
গন্তব্য নিজের জন্য সুবিধাজনক হলেই কেবল খ্যাপে বাইক চালানোর পক্ষপাতী এই রাইডার। বললেন, “খ্যাপে চললে কমিশনের টাকাটা আর দেওয়া লাগে না।”
ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়ালেই এখন দেখা যায়, কাউকে দেখলেই বাইকাররা বলে উঠছেন ‘যাবেন নাকি’, ‘কই যাবেন‘। যাত্রীর গন্তব্য পছন্দ না হলে যেতে চাইছেন না; দর-দাম নিয়ে বচসাও হচ্ছে।
আবার কোথাও কোথাও দেখা যায়, পথিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ফুটপাতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকার।
ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজার, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০ নম্বর, ১ নম্বর, আগারগাঁওসহ বিভিন্ন জায়গায় জটলায় কথা হয় বাইকারদের সঙ্গে।
শুরুতে সবাই অ্যাপে চালাতেন। কিন্তু তেলের দাম বাড়ার পর রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো ‘ভাড়া না বাড়ানোয়’ সবাই খ্যাপের দিকে ঝুঁকেছেন বলে মনে করেন চালক সোহেল মিয়া।
মিরপুর-১ এ তার সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে থাকা চালক শহিদুল ইসলাম পলাশ বলে উঠলেন, “যাত্রীরা এভাবে যাচ্ছে, তাই নিচ্ছি। তেলের যে দাম বাড়ছে, অ্যাপ তো ভাড়া বাড়ায় নাই। খ্যাপে চালিয়ে তাও বেঁচে আছি। অ্যাপকে কমিশন দিয়ে চালালে বউ-বাচ্চা নিয়ে আর চলা লাগবে না।”
মহাখালী আমতলী এলাকায় অপেক্ষমান মোটরসাইকেল চালক রায়হান আহমেদ বলেন, ”কোম্পানিগুলো যাত্রীর সুবিধা বেশি দেয়। চালকদের জন্য যাত্রীর রেটিং দেওয়া ছাড়া আর কিছু নেই। তারা বাজে রেটিং দিলে আমরা ব্লক খাই।”
কিন্তু খ্যাপে চলতে গিয়ে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে বলে জানালেন যাত্রীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহাতুল হাসান আশিক বললেন, চালকরা একজোট হয়ে দর কষাকষি করায় ‘সুলভে’ যাওয়ার আর সুযোগ মিলছে না।
শাহবাগ থেকে শ্যামলী-মোহাম্মদপুর এলাকায় নিয়মিত যাতায়াতকারী এ যাত্রী বলেন, “তারা একজোট হয়ে একটা ভাড়া চার্জ করে, অ্যাপের চেয়ে বেশি চায়। যাত্রীর বলা ভাড়া পছন্দ না হলে নানা কথা বলে।”
খ্যাপে হয়রানি, নিরাপত্তাশঙ্কা
যাত্রীরা বলছেন, ভাড়ায় মোটরসাইকেল রাইডের সুবিধা নিতে গিয়ে তারা নানা ধরনের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
মগবাজার, শাহবাগ এলাকায় রাইড সেবা নেওয়া এনসিসি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার সাব্বির আহমেদ শাওন বলেন, “জ্যামের ঢাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়া একটা স্বস্তির বিষয় ছিল। কিন্তু এখন সেটা নষ্ট হয়ে গেছে।
পরিবহন সঙ্কটের সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া
‘অবৈধভাবেই’ চলছে রাইড শেয়ারিং সেবা
“অ্যাপে গেলে মনে হয়, পেছনে আমি কোনো অফিসার বসে আছি, রাইডারের ভালো ব্যবহার, নম্র আচরণ। আর খ্যাপে উঠলে দেখা যায়- তারা মানুষই মনে করে না। কারণ খ্যাপে কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই।”
অ্যাপের বাইরে মোটরসাইকেল সেবা নিতে গিয়ে অশোভন আচরণের শিকার হওয়ার কথা জানাচ্ছেন নারীরাও।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইসলাম বললেন, “ঢাকায় সব জায়গা চেনা না থাকায় মোটরসাইকেল রাইড নিই। কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখা যায়, ড্রাইভাররা অনেক সময় বাজে ইঙ্গিত করেন।
“বারবার ব্রেক করেন। কিছু বললে তারা রাস্তার দোহাই দেন, অথবা বাজে ব্যবহার করেন।”
বেসরকারি চাকরিজীবী নওরিন সুলতানা নিশাত বললেন, “নারী হিসেবে বাইক রাইড সার্ভিস নিতে গিয়ে ড্রাইভারদের অন্যরকম আচরণের সামনে পড়তে হয়। সবাই না করলেও কিছু কিছু চালক অপ্রীতিকর ইশারা-ইঙ্গিত করেন। যেটা অ্যাপের চাইতে লোকালি গেলে একটু বেশি হয়।”
এসব অভিযোগ একবারেই মানতে নারাজ খ্যাপের চালকরা। তাদের ভাষ্য, ‘অপেশাদার’ কিছু মানুষ এটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে এর সুনাম নষ্ট করছে।
এমন ঘটনা কিছু যে ঘটে, তা স্বীকার করলেন ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ। তিনি বলেন, ”এসব কারণে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে রাইড দেওয়া-নেওয়া হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তরণ করতে হলে কমিশন কমিয়ে রাইডারদের অ্যাপে ফিরিয়ে একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।”
অ্যাপে চালক ও যাত্রীদের নিবন্ধন থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে তাদের তেমন শঙ্কা থাকে না। কিন্তু খ্যাপের শেয়ারে ছিনতাই, খুনের মত ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৯ সালে যাত্রীবেশে এক নারী চালকের মোটরসাইকেল ছিনতাই করেন আরেক নারী। একই বছরের ২৬ অগাস্ট রাতে মালিবাগ ফ্লাইওভারে ছুরিকাঘাতের শিকার হন বাইক চালক মিলন মিয়া। ওই সময় তিনি অ্যাপের পরিবর্তে ভাড়ায় যাত্রী বহন করছিলেন। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বাইকটি ছিনতাই করা হয়।
এর আগের বছর ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ফ্রি পোর্ট এলাকা থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে পাহাড়তলীর জেলে পাড়া এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চালক মিজানুর রহমান। ওই দিন অ্যাপ ছাড়াই গাড়িতে চড়েন শিক্ষানবিশ ওই চিকিৎসক।
তবে এ মুহূর্তে রাইড শেয়ার নিয়ে ‘কোনো অভিযোগ নেই’ বলে জানালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যাত্রী অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
কমিশনের হার নিয়ে কী ভাবনা কোম্পানিগুলোর?
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস হিসেবে বিআরটিএ-এর তালিকাভুক্ত কোম্পানি ১৫টি। তবে বর্তমানে সেবা দিচ্ছে শুধু উবার ও পাঠাও। উবার বাংলাদেশে ২৫ শতাংশ হারে কমিশন কেটে রাখে। আর পাঠাও ২০২১ সালের নভেম্বরে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়নের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই চাকার বাহনে কমিশনের হার নির্ধারণ করে ১০ শতাংশ।
কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এই কমিশনও ‘বেশি’ বলে দাবি রাইডারদের নেতা বেলাল আহমদের। তার বক্তব্য, উবার কমিশন নিচ্ছে ২৫ শতাংশ। সরকারকে ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়েও উবারের পকেট ভারীই থাকছে।
“পাঠাও কিছুক্ষেত্রে মোটর সাইকেলে ১০ শতাংশ কেটে নিলেও কারে নিচ্ছে ২৫ শতাংশ। উচ্চ কমিশনের ফলে রাইডারদের অ্যাপে ফেরানো যাচ্ছে না “ তবে নিজ নিজ কোম্পানির কমিশনকে ‘যৌক্তিক’ দাবি করছে উবার ও পাঠাও।
রাইড শেয়ারিংয়ের ‘খেলনা’ হেলমেট নিয়ে চিন্তিত পুলিশও
‘লাগামহীন’ রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে ছাড় দিয়ে নিবন্ধনের চিন্তা
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে উবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ”বাংলাদেশে রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের দরকার হয়। আমাদের কমিশন যাত্রীসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে কাজে লাগছে।”
আর পাঠাও সিইও ফাহিম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ”পাঠাও বর্তমানে মোটর সাইকেল চালকদের কাছ থেকে সবচেয়ে কম কমিশন নিচ্ছে। গত অগাস্টে তেলের দাম বাড়ার পর আমাদের ভাড়া ক্ষেত্র বিশেষে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছি।”
দায় নিতে চায় না কেউ
ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল জানালেন, সংগঠন শুরুর পর গত এক বছরে ঢাকায় তাদের সদস্য সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
“ঢাকা শহরে আমার ধারণা প্রায় দুই লক্ষ মানুষ (যাত্রী) রাইড শেয়ার করে। তাদের ৯০-৯৫ শতাংশই এখন অ্যাপে চলে না।”
কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়া যে কেউ ঢাকায় মোটরসাইকেল রাইড সেবায় যুক্ত হওয়ার ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, “মোটর সাইকেলে রাইড শেয়ারে এই যে অব্যবস্থাপনা, তা বিআরটিএকে দূর করতে হবে। তাদের মনিটরিংয়ের অভাব আছে। যেসব ড্রাইভার লাগামছাড়া চলছে, তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ”এভাবে যেসব মোটর সাইকেলে (খ্যাপে) যাত্রী পরিবহন করছে, তারা নিশ্চিতভাবে অন্যায় কাজ করছে।
“রাইড শেয়ারিং নীতিমালা যে ধারণা ও উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে, সেটি থেকে মাঠপর্যায়ের রাইডাররা সরে এসেছে। তাদের ব্যাপারে নিয়মিত আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসছে, আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব মোটরসাইকেলের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
তবে এক্ষেত্রে বিআরটিএ-এর দায়িত্বই ‘বেশি’ মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, “বিআরটিএর কাছ থেকে আমরা কোনো তালিকা পাইনি। তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা আসতে হবে। আইনের কিছু ফাঁক-ফোকরের ভেতর দিয়ে এসব চলছে। মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং নিয়ে নতুন সড়ক পরিবহন আইনে স্পষ্ট বলা না থাকায় আমরা সরাসরি আইন প্রয়োগ করতে পারি না।”