“কোথাও যেন পানি জানতে না দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব”, বলেন তিনি।
Published : 24 Apr 2024, 07:43 PM
নির্মাণাধীন ভবনে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র বলেন, “ঢাকা শহরে যে সকল ভবন নির্মাণ করা হয় সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার হয়ে যায়। গবেষণালব্দ বিভিন্ন ফলাফল ও জরিপে আমরা দেখেছি যে, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে।
“সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণ কাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, তারা পুলিশ প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, “কোথাও যেন পানি জানতে না দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব। জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব।”
গুলিস্তান মোড়ে বঙ্গবন্ধু ফোয়ারার সংস্কার পরবর্তী কাজ পরিদর্শন, ২০ নং ওয়ার্ড ও ১৩ নং ওয়ার্ডস্থিত বিদ্যমান পাইপ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন এবং শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন মেয়র তাপস।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।