বর্ষবরণের আগে শাহবাগে ফুলের পসরা, গোলাপ ‘২৫ টাকা’

ক্রেতাদের ভিড়েও জমজমাট হয়ে উঠেছে ফুলের দোকানগুলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2022, 02:58 PM
Updated : 31 Dec 2022, 02:58 PM

বছরের প্রথম দিনে ‘প্রিয়জনকে’ শুভেচ্ছা জানানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দৃষ্টিনন্দন ফুলের ব্যবহার পুরনো; সে উপলক্ষে বছরের শেষ দিনে পসরা সাজিয়ে বসেছেন রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি ফুল ব্যবসায়ীরা।

থার্টি ফার্স্ট নাইট ও বছরের প্রথম দিন ঘিরে ক্রেতাদের ভিড়েও জমজমাট হয়ে উঠেছে ঢাকার শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো। মহামারীর পর বিক্রি ভালো হওয়ায় তাদের মধ্যে দেখা গেছে স্বস্তি।

শনিবার ‘অস্থায়ী’ এসব পুষ্পালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের থেকে নববর্ষের আগের ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব প্রায় সবগুলো দোকান। বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা দোকান ঘুরে দেশি-বিদেশি ফুল কিনছেন; নিয়মিত দামের চেয়ে তাদের অবশ্য খরচ করতে হচ্ছে কিছুটা বেশি।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা জানান, দেশি গোলাপ প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ৬০-৭০ বিদেশি গোলাপ; রজনীগন্ধা ১৫-২০ টাকা, গ্লাডিওলাস ১৫-২০ টাকা, জারবারা ১৫-২০ টাকা, অর্কিড ১০০-১৫০ টাকা, লিলি ৩০০-৪০০ টাকা ও ফুলের বড় তোরাগুলো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশের প্রথম এবং বড় পাইকারি ও খুচরা ফুল কেনাবেচার বাজার শাহবাগ। ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির অধীনে শতাধিক তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ী পাইকারি ফুলের দোকান নেতৃত্ব দেন । আর শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির অধীনে আছে খুচরা ফুল বিক্রির ৪০টি দোকান।

যশোরের গদখালি ও চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর থেকে সবচেয়ে বেশি ফুল আসে বলে জানান বিক্রেতারা; গোলাপ ফুল বেশি আসে সাভার ও আশুলিয়ার গোলাপ গ্রাম থেকে।

তবে বিদেশি প্লাস্টিক ফুলের রমরমা ব্যবসায় দেশি ফুল কদর হারাচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি এবং বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেরিন শেখ।

তিনি বলেন, “আর্টিফিসিয়াল ফুলের কারণে আমাদের ব্যবসা আগের মতো নেই। তারপর মাঝখানে করোনাভাইরাসের হানায় আমাদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এখন ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টা করছে ব্যবসায়ীরা।

“কাঁচামালের ব্যবসায় অনেক সময়ই লস হয়। কোনো উপলক্ষ এলেই সেই ক্ষতি পুষানো যায়। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও পহেলা জানুয়ারি উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা অনেক ফুল সংগ্রহ করেছে। আমাদের প্রত্যাশা, নগরবাসী তাদের প্রিয়জনদের সেই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবে।”