কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ এদিন সময়ের আবেদন করে। ইরফান সেলিমও উপস্থিত ছিলেন না আদালতে।
Published : 10 Apr 2023, 02:40 PM
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে গেছে।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানহর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে।
মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ।
পরে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন বলে জানান এ আইনজীবী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেছিলেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি ইরফান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন— ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু এবং ইরফানের সহযোগী কাজী রিপন।
তাদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে আছেন। কাজী রিপন পলাতক।
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান। তিনি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। কলাবাগানে তার বাইককে ধাক্কা দেয় ইরফানের গাড়ি।
তখন তিনি বাইক থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ালে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা নেমে এসে তাকে মারধর এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
পরদিন ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম, জাহিদুল মোল্লা, সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের এসআই মমিনুল হক।
পুরনো খবর
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ইরফান সেলিম