মারধর ও হত্যাচেষ্টার এ মামলায় ইতোমধ্যে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিচার শুরুর আদেশ হয়েছে।
Published : 09 Feb 2023, 04:39 PM
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার একই আদালত ধানমণ্ডি থানার মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিল; এদিন ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
ওইদিন ইরফান আদালতে হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদনে সাড়া না গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
একইসঙ্গে তাকে পলাতক দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিনও ঠিক করে দেয় আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু এবং ইরফানের সহযোগী কাজী রিপন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ইরফান সেলিমের বিচার শুরুর আদেশ
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান। তিনি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। কলাবাগানে তার বাইককে ধাক্কা দেয় ইরফানের গাড়ি।
তখন তিনি বাইক থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ালে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা নেমে এসে তাকে মারধর এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
পরদিন ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম, জাহিদুল মোল্লা, সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের এসআই মমিনুল হক।
আরও পড়ুন