“যে জাহাজ তাদেরকে ফেরত নিয়ে যেতে আসবে সেই জাহাজে করে নানাভাবে সেখানে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশিকেও নিয়ে আসবে।”
Published : 19 Apr 2024, 07:53 PM
সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের দ্বিতীয় দফায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য, সেনা বাহিনীর সদস্য আমাদের দেশে অনেকে এসেছেন, আজকে সকালেও এসেছেন।
“সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৮৫ জন আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাদের (মিয়ানমার) সাথে আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি তাদেরকে ফেরত দেওয়ার জন্য। আগামী ২২ তারিখ জাহাজযোগে তাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তো, ২২ তারিখে নিতে পারবে কি না সেটা নির্ভর করছে সমুদ্রের পরিস্থিতি এবং সেখানকার পরিস্থিতির ওপর, সার্বিক পরিস্থিতির উপর। তবে তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মত হয়েছে এবং নৌপথেই তাদের ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে।”
মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নিতে আসা জাহাজ করে দেশটিতে আটকা পড়া একদল বাংলাদেশি ফিরবে বলে জানান মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, “যে জাহাজ তাদেরকে ফেরত নিয়ে যেতে আসবে সেই জাহাজে করে নানাভাবে সেখানে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশিকেও নিয়ে আসবে।”
দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় মোট ২৮৫ জন এসেছেন বাংলাদেশে, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭০ জনের মত বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারও বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই ১৫০ জনকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।