বিচারক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ রেখেছেন।
Published : 15 Jan 2023, 06:07 PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়েছে।
রোববার প্রতিবেদন দাখিলের দিন থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তা জমা দিতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম শান্ত ইসলাম মল্লিক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ রেখেছেন।
এ দিন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন জামিনে থাকা ফারদিনের বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরা। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত তার জামিন বহাল থাকবে বলে গত ৮ জানুয়ারি আদেশ দেয় আদালত।
গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ নভেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছিল নৌ-পুলিশ৷ ১০ ডিসেম্বর ভোরে ফারদিনের বাবার করা মামলায় বুশরাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হলে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছিল আদালত।
পাশাপাশি আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে হত্যা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন ১২ ডিসেম্বর জমার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মজিবুর রহমান সেদিন তা দিতে না পারায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছিল আদালত।
কিন্তু এ দিনও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। কবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়বে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মৌখিক আদেশে আমি এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। যদিও অফিসিয়ালি এ আদেশ পাইনি।
“আমি এ মামলার চতুর্থ তদন্ত কর্মকর্তা। সিসিটিভির ভিডিও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে দেওয়া হয়েছে, সেই রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি, যে কারণে যাচাই-বাছাইও করা সম্ভব হয়নি। আর সেজন্য কোনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।”
ফারদিনের লাশের ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যু ‘হত্যাজনিত’ বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ।
তিনি বলেছিলেন, ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার দিনই ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন’ ফারদিন। তার মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ মৃত্যুর আগে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই ছাত্র৷
তার ভিত্তিতে ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা হত্যা মামলা করেছিলেন রামপুরা থানায়। সেই মামলায় আসামি করা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুশরাকে। মামলার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় বুশরাকে; যদিও তিনি নির্দোষ বলে দাবি করে আসছিলেন তার স্বজনরা।
র্যাব ও ডিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফারদিন হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা বলার পর বুয়েট শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিলেও তা মানতে নারাজ ফারদিনের বাবা। সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদনে তার নারাজি আবেদন দেওয়ার সুযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন:
ফারদিনের মৃত্যু: অবশেষে মুক্তি পেলেন বুশরা
ফারদিনের মৃত্যু: অবশেষে বুশরার জামিন
ফারদিনের বন্ধু বুশরা ‘জড়িত নয়’ জানিয়ে প্রতিবেদন দেবে ডিবি
ফারদিন খুন হননি, আত্মহত্যা: ডিবি-র্যাব