“সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে- এটা কে করে? আমি জানি না।”
Published : 13 Mar 2023, 02:13 PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটের সময় মোবাইল সেবায় ‘বিঘ্ন’ ঘটলে জনমনে তা সন্দেহের সৃষ্টি করে। তার প্রত্যাশা, সরকারও বিষয়টা বুঝবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের খসড়া সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য সংগ্রহে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
নির্বাচনের আগে ও ভোটের দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সেবায় নানা ধরনের বিঘ্ন ঘটার অভিজ্ঞতা আলোচনায় তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। ইন্টারনেটের ধীরগতি ও মোবাইল নেটওয়ার্ক জটিলতায় তাৎক্ষণিক তথ্য পেতে বিলম্ব হওয়া এবং যোগাযোগ বিড়ম্বনার কথা তারা বলেন।
সিইসি বলের, এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে যেন ‘সন্দেহের সৃষ্টি না হয়’ সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে; স্বচ্ছতার বিষয়ে জোর দিতে হবে।
ভোটের সময় নেটওয়ার্ক জটিলতা কে তৈরি করে সে বিষয়ে অবগত নন বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, “নেটওয়ার্ক স্লো- এটাকে যদি অপকৌশল হিসেবে ব্যবহার করে কিনা এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত। ... সরকারের কাছে এ বক্তব্য যে কেউ করতে পারে- নির্বাচনে এ জিনিসগুলো না করাই বোধ হয় ভালো হবে। তাহলে সন্দেহের উদ্রেক হবে।”
এ ধরনের ঘটনা হলে তা নির্বাচনের ‘স্বচ্ছতার পরিপন্থি’ হবে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
তার ভাষ্য, “সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে- এটা কে করে? আমি জানি না।”
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনায় সাংবাদিকরা ভোটের সংবাদ সংগ্রহের নানা বাধা বিপত্তির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে অবাধ তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ইসির ইতিবাচক ভূমিকা রাখার দাবি তুলে ধরেন তারা।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। গণমাধ্যমের মাধ্যমে যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে কমিশনেরও ‘বিতর্কের উর্ধ্বে থাকার সুযোগটা’ বেড়ে যায়।
“আজকের গণমাধ্যম ৫০ বছরের আগের গণমাধ্যমের মত নয়। এখন বিভিন্ন রকম চ্যানেল-অনলাইন হয়েছে, যার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ জানা যায়। গণমাধ্যম তাদের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে তুলে ধরছে।
“আমরা কমিশনের পক্ষে বলব- গণমাধ্যমের বিপক্ষে কখনোই আমাদের অবস্থান নয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা, সার্বিক কর্মকাণ্ডকে জনস্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয় সেটা আমরা দেখব। আমরা আপনাদের দায়িত্বপালনে সহায়তা করব।”
সিইসি বলেন, গণমাধ্যম যদি ‘আরও উদার’ থেকে, বস্তুনিষ্টভাবে ও দায়িত্বশীলতার সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তুলে ধরে, যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তাহলে আগামী নির্বাচন দেশবাসী ও জনগণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এবং সাংবাদিকরা মত বিনিময়ে অংশ নেন।
পুরনো খবর
১০ ঘণ্টা পর ফিরল ফোর জি ও থ্রি জি মোবাইল ইন্টারনেট
এবার ভোট দেখতে চায় ২১০টি প্রতিষ্ঠান
ইসির স্টিকার থাকলে ছাড় পাবে সাংবাদিকের বাইক
সাংবাদিক হয়রানি: ইসির সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মানববন্ধন