জঙ্গি ছিনতাই: আহত পুলিশ সদস্যও বরখাস্ত

পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির হদিস এখনও বের করতে পারেনি পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 12:47 PM
Updated : 27 Nov 2022, 12:47 PM

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিকে ঢাকার আদালত থেকে ছিনতাইয়ের সময় বাধা দিতে গিয়ে যে পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন, তিনিও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।

কনস্টেবল নুরে আজাদসহ সেদিন কর্তব্যরত মোট সাত পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন।

গত ২০ নভেম্বর জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরদিন পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছিল। তারা হলেন- ঢাকার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ এসআই নাহিদুর রহমান, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার।

তাদের সঙ্গে কনস্টেবল নূরে আজাদ ও কনস্টেবল জয়নাল যোগ হলেন। আজাদ ডিএমপির প্রসিকিউশন রিজার্ভ ইউনিটের সদস্য ছিলেন।

সেদিন পুলিশকে মেরে এবং পেপার স্প্রে ছুড়ে আনসার আল ইসলামের সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা।

এই দুজন প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। আরেকটি মামলায় হাজিরা দিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তাদের আদালতে নেওয়া হয়েছিল।

Also Read: যেভাবে ছিনতাই ২ জঙ্গি

Also Read: দুই জঙ্গি ছিনতাই: পাঁচ পুলিশ বরখাস্ত

Also Read: জঙ্গি ছিনতাই: পুলিশের দুর্বলতা না অবহেলা?

শুনানি শেষে আসামিদের আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশের উপর হামলা চালায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তখন নূরে আজমও আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নিয়ে শনিবারেই তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন, তারপরই তাকে বরখাস্ত করা হয়।

উপ-কমিশনার জসিম বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে নূরে আযমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

“তার সঙ্গে চার পুলিশ সদস্য ঘটনার দিন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ডিউটিতে চারজন থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা তদন্তের বিষয়। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।”

সেদিন আহত ৩৯ বছর বয়সী আজাদকে প্রথমে নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে, সেখান থেকে পাঠানো হয় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে। আজাদের নাকের উপর সেদিন মোটা ব্যান্ডেজ ছিল, তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।

তার সঙ্গে থাকা একজন বলেছলেন, স্প্রে করার পর আজাদের নাকে ও মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিনে।

জঙ্গি ছিনতাইয়ের এ ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে, ওই ব্যক্তিও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলার আসামি। ওই মামলায় মইনুল ও সোহেলও আসামি। পলাতক দুজনের কোনো হদিস এখনও বের করতে পারেন পুলিশ।

Also Read: যাদের ছকে জঙ্গি ছিনতাই, তারা ‘চিহ্নিত’

Also Read: জঙ্গি ছিনতাইয়ে ‘জড়িত’ একজন গ্রেপ্তার