মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তির পর এখন দুই হাজার ২৬০ জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রোববার বিকাল ৪টা।
Published : 17 Dec 2023, 09:39 AM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হচ্ছে রোববার; এরপর জানা যাবে, শেষ পর্যন্ত কারা থাকছেন ভোটের লড়াইয়ে।
দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কেউ নিজেকে ভোট থেকে সরিয়ে নিতে চাইলে বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এরপরই চূড়ান্ত হবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মোট সংখ্যা।
শেষ পর্যন্ত যারা ভোটের দৌড়ে থাকবেন, সোমবার তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৩০০ আসনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবার দায়িত্ব পালন করছেন।
মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, আপিল নিষ্পত্তি শেষে এখন পর্যন্ত ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র মিলে ২২৬০ জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী লিখিত বা স্বাক্ষরিত নোটিসের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিজে অথবা লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নিবন্ধিত দলের কোনো আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া থাকলে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী কোনো ব্যক্তি লিখিত নোটিস দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নিজে গিয়ে, কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত মনোনয়ন সম্পর্কে অবহিত করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে ওই আসনে দলের অন্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে। আর দল থেকে ইসিকে কোনো চিঠি দেওয়া না হলে ওই আসনে ওই দলের সব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।
কোন কোন দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবে কিংবা জোটের শরিক হিসেবে বড় দলের প্রতীক ব্যবহার করবে তা তফসিল ঘোষণার পর তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। ইতোমধ্যে সাতটি আসন ১৪ দলের শরিকদের ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। অর্থাৎ, ওই সাত আসনে জোটের প্রার্থিতা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।
এ বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে হবে বিকাল ৪টার মধ্যে। সেক্ষেত্রে ওইসব আসনে এখন যারা আওয়ামী লীগের বৈধ প্রার্থী আছেন, তারা বাদ পড়ে যাবেন, নৌকা পাবেন দল মনোনীত জোটের শরিকরা।
আওয়ামী লীগ এবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটে যায়নি। তবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হলে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো থেকে নিজেদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে আওয়ামী লীগ। সেটাও ইসিকে জানাতে হবে বিকাল ৪টার মধ্যে। তবে জোটবদ্ধ নির্বাচন না করায় জাতীয় পার্টির কারও নৌকা পাওয়ার সুযোগ নেই।
>> গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
>> গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের ৩০০ আসনে দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
>> ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর বাছাইয়ে এক হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
>> ৫-১০ ডিসেম্বর কমিশনে ৫৬০টি আপিল জমা পড়ে। শুনানি শেষে মঞ্জুর হয় ২৮০টি আবেদন। এখন বৈধ প্রার্থী ২২৬০ জন।
>> বৈধ প্রার্থীরা বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।
>> প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সংখ্যা চূড়ান্ত হবে, তারাই ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন।
>> সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। তখন থেকেই দল বা প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারে নামতে পারবেন।
সোমবার থেকে প্রচার শুরু হয়ে চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
পুরনো খবর