এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, হেরোইন, কষ্টিপাথরের মূর্তি জব্দ করা হয়।
Published : 25 Mar 2024, 03:05 PM
মাদকের কারবারের ভাগ-বাটোয়ারা এবং মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে সাভারে আটমাস আগে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
‘হৃদয় গ্রুপের’ এই আটজন হলেন- মো. হৃদয় হোসেন ওরফে গিয়ার হৃদয় (২৪), মো. আরিয়ান আহম্মেদ জয় ওরফে ড্যাগার আরিয়ান (২৩), নাসির উদ্দিন নাসু ওরফে বাবা নাসু (৫২), আবিরুল হক আবির ওরফে কাটা আবির (২৪), জোবায়ের হাসান খন্দকার ওরফে পাইটু জোবায়ের (১৯), জাকির হোসেন রনি (৩০), মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহেদ (৩৬) এবং আমির হামজা (২১)।
সাভারে অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানান এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, হেরোইন ও কষ্টিপাথরের মূর্তি জব্দ করা হয়।
সোমবার কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, নিহত আকাশ মাহমুদ 'পিনিক রাব্বি' নামে একটি গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
“মাদক ব্যবসার টাকা পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে ‘হৃদয় গ্রুপের’ সদস্যরা গতবছর ৯ জুলাই ‘পিনিক রাব্বি গ্রুপের’ সদস্য আকাশ মাহমুদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।“
মঈন বলেন, “গত চার বছর ধরে হৃদয় গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণের মত অপরাধে তারা জড়িত।”
একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকাশ হত্যার ঘটনা ঘটে জানিয়ে র্যাব মুখপাত্র বলেন, “সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় একটি বাসায় এক ডিজে পার্টিতে মোবাইল চুরির ঘটনায় হৃদয় গ্রুপের সদস্যরা দুইজন ছেলেকে মারধর করে।
"ওই ঘটনার জের ধরে সাভারের একটি খাবার হোটেলের ভেতরে ‘হৃদয় গ্রুপ’ এবং ‘পিনিক রাব্বি গ্রুপের’ মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে আকাশকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।"
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলছেন, দুই গ্রুপই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় তাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা লেগেই থাকে।
গ্রেপ্তার ৮ জনের বিরুদ্ধে সাভারসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।