হাই কোর্টে নর্থ সাউথের দুই ট্রাস্টির জামিন

দেশের বাইরে না যাওয়ার এবং অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে না যাওয়ার শর্তে তাদের ছয় মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2022, 09:10 AM
Updated : 10 Nov 2022, 09:10 AM

দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

তাদের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জামিন মঞ্জুর করে।

কাশেম ও রেহানার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের বাইরে না যাওয়ার এবং অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে না যাওয়ার শর্তে তাদেরকে ছয় মাসের জন্য জামিন দিয়েছে আদালত।”

এক প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী বলেন, কাশেম ও রেহানা এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কোনো মামলা না থাকায় তাদের মুক্তিতে ‘বাধা নেই’।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর করা ওই মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডের এই দুই সদস্য ছাড়াও বোর্ডের অপর দুই সদস্য বেনজীর আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান, বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়।

মামলার পর বোর্ডের চার সদস্য গত ২২ মে আগাম জামিনের জন্য হাই কোর্টে গেলে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাদেরকে নিম্ন আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এরপর কারাগার থেকে কাশেম ও রেহানা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করলে আদালত গত অগাস্টে রুল দেয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে তাদের জামিন দেওয়া হল।

Also Read: নর্থ সাউথের অর্থআত্মসাৎ:  মামলায় আরও ৩ আসামি, অভিযোগপত্র অনুমোদন

Also Read: নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বেনজীরকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট

Also Read: নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টির জামিন নাকচ

Also Read: নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা

তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

“অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে আসামিরা মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।”