নর্থ সাউথের অর্থআত্মসাৎ:  মামলায় আরও ৩ আসামি, অভিযোগপত্র অনুমোদন

বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনার প্রক্রিয়ায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2022, 06:54 PM
Updated : 20 Oct 2022, 06:54 PM

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনার নামে অতিরিক্ত প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুদক।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে মামলার এজাহারে ছয়জন আসামি থাকলেও অভিযোগপত্রে নতুন আরও তিনজনসহ মোট ৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

আর তদন্তের পর নতুন তিনজন আসামি হলেন- আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনার প্রক্রিয়ায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে ঢাকার একটি আদালতে এ মামলা করেন দুদকের উপ পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

“অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।”

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।