নবগঠিত ১২ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডে আগের বোর্ডের ১৬ সদস্যের ৭ জনকে রাখা হয়নি।
Published : 17 Aug 2022, 01:21 AM
বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে সরকার।
রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতা, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই পদক্ষেপ বলে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে।
নবগঠিত ১২ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডে আগের বোর্ডের ১৬ সদস্যের ৭ জনকে রাখা হয়নি।
বাদ পড়াদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান কারাগারে রয়েছেন। এ মামলার আরেক আসামি আগের বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদকেও বোর্ডে রাখা হয়নি।
পুণর্গঠিত বোর্ডে রাখা হয়নি নুরুল এইচ খান ও আজিজ আল কায়সার টিটুকে।
আগের বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, এম এ কালাম, এস এম কামাল উদ্দিন, আবুল কাশেম, ইয়াসমিন কামাল, সোহেল এফ রহমান, ফৌজিয়া নাজ, ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ, তানভীর হারুনকে রাখা হয়েছে।
বোর্ডে নতুন সদস্য করা হয়েছে জাভেদ মুনির আহমেদ, ফাইজা জামিল ও সীমা আহমেদকে।
নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টি কারাগারে
আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বাভাবিক শিক্ষা ও পরিচালনা কার্যক্রম’ বিঘ্নিত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মিলিত সভার সুপারিশ আচার্যের অনুমোদনের পর ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।
ট্রাস্টি বোর্ড থেকে কয়েকজনকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে দুদকের মামলার কথা বলা হয়। তাছাড়া ট্রেজারার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি নথিতে জালিয়াতির ঘটনায় একজন ট্রাস্টির বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়ার কথাও বলা হয়।
এ অবস্থায় অভিযুক্তদের বোর্ড অব ট্রাস্টে থাকা সমীচীন নয়, বলা হয় আদেশে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩৫ (৭) অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দিলে বা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে, স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বিবেচিত হবে।