এ ধরনের কাজ যে শাস্তিযোগ্য অপরাধও তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Published : 27 Dec 2024, 11:35 AM
ইংরেজি বর্ষবরণে ‘থার্টি ফার্স্টের' রাতে আতশবাজি পোড়ানো ও পটকা ফোটানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
এ ধরনের কাজকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ও বলছে মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানিয়েছে।
থার্টি ফার্স্টের রাতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতি বছরই নগরজুড়ে পটকা ফোটানো ও আতশবাজি পোড়ানো হয়। বিভিন্ন স্থানে ফানুস ওড়ানোর সময় আগুন লাগার খবর আসে। এছাড়া ফানুসের আগুনে নতুন চালু হওয়া মেট্রোরেলের তারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাতে ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে যা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ইতোপূর্বে এক থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
এ ধরনের আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা তুলে ধরে মন্ত্রণালয় বলছে, অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
আর আইন অমান্য করে আতশবাজি পোড়ানোর জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং পটকা ফোটালে জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেওরার বিধান রয়েছে।
নববর্ষে আতশবাজি, 'মাশুল গুনল' ঢাকার বাতাস
বর্ষবরণের আতশবাজি-ফানুসে কত ক্ষতি, জানাল ফায়ার সার্ভিস
বর্ষবরণের ফানুস বিদ্যুতের তারে, মেট্রোরেল দুই ঘণ্টা বন্ধ