থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা, ফানুস নয়: আইজিপি

বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের অনুরোধ।

ইংরেজি বর্ষবরণে থার্টি ফার্স্টের রাতে পটকা, আতশবাজি পোড়ানো এবং ফানুস ওড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

ওই রাতের পাশাপাশি খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান।

রোববার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য সভায় উপস্থিত খ্রিস্টান ধর্মের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি।

“কেউ নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে আপনারা তাকে ধরে ফেলবেন। আর ধরতে না পারলে চিনে রাখবেন, পুলিশ তাদেরকে আটক করবে।"

প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোশাল মিডিয়ায় কেউ বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন পুলিশ প্রধান।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি কামরুল আহসান, মনিরুল ইসলাম, এস এম রুহুল আমিন, আতিকুল ইসলাম, বনজ কুমার মজুমদার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও , খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার।

র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মহানগরের পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।