প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ‘পথ খুঁজছে’ নির্বাচন সংস্কার কমিশন

“আমরা চেষ্টা করব, ওটা অনেক চ্যালেঞ্জিং”, বলেন কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটাধিকার নিশ্চিতে কী করা যায়, সেই উপায় খুঁজছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে গঠন করা কমিশন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের নতুন সদস্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সাদিক আল আরমানকেও পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

আরমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। সরকার পতন আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের বিষয়টি সংস্কারের অন্যতম পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন বদিউল। বলেন, “আমরা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। দেড় কোটি থেকে দুই কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি-তাদেরকে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে যদি না পারি বা তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হয়, তাহলে বিরাট জনগোষ্ঠী ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা চেষ্টা করব, ওটা অনেক চ্যালেঞ্জিং।”

এ বিষয়েও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাদের মতামত নিয়েছি। কীভাবে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়, জানার চেষ্টা করেছি। তার ভিত্তিতে আমরা কতগুলো সুপারিশ করব।”

কমিশন এ পর্যন্ত ১২টি সভা করেছে জানিয়ে বদিউল বলেন, “ফরমালি, ইনফরমালি আরও আলাপ আলোচনা করেছি। এখন ছাত্র হয়ে গিয়েছি। অনেক আইন, বিধি বিধান পর্যালোচনা করছি। এর ভিত্তিতে আমরা যে ইস্যুগুলো চিহ্নিত করব, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেব। মতামত নেওয়ার পর আমরা সরকারকে সুপারিশ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হব।”

কমিশন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কারের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

সংস্কার প্রস্তাব তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশন বসবে কিনা, এই প্রশ্নে বদিউল বলেন, “আমাদের কাজটা হলো কারিগরি। তাদের সাথে মত বিনিময়ের কিছু নেই। কারণ, আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার নেই।

“আমার মনে হয় না বসার দরকার আছে৷ এখানে সুস্পষ্ট ধারণাগুলো দরকার। আমরা সাধারণ বক্তব্য চাই না, সুস্পষ্ট মতামত চাই।”

নির্বাচন সংস্কারে আইন-বিধি পর্যালোচনা করছে কমিশন

নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত চায় কমিশন