যেসব কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে সেগুলোর কার্যক্রম কম থাকায় কোভিড মহামারীর সময় ঢাকার বাতাস তুলনামূলক ভালো ছিল। তবে এখন আবার আগের জায়গায় ফিরেছে বাতাসের অবস্থা।
Published : 22 Nov 2024, 01:31 AM
ঢাকার বাতাসের মান নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও মোদ্দা কথা হচ্ছে, রাজধানীতে এখন বুকভরে নির্মল বাতাস নেওয়ার উপায় আর নেই।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেছেন, এ সময়ের ২৭০২ দিনে মাত্র ৫৭ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে রাজধানীবাসী। বাকি দিনগুলোর বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক ছিল।
তিনি বলেছেন, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত- পাঁচ মাসে সারা বছরের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ বায়ুদূষণ হয়।
রাজধানীবাসী যে একরকম ‘দমবন্ধ’ পরিবেশে বাস করছে, সেটি তার এই তথ্যেই বোঝা যায়। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণজনিত নানা রোগশোকে চিকিৎসকের কাছে ছোটাছুটিতে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে মানুষকে।
শীতকালে ঢাকার অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ প্রায় দেড়গুণ বেড়ে যায় বলে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুদ্দিন বেন নূর।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গবেষণা না থাকলেও আমার ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা তাই বলছে। এ সময়টা শ্বাসতন্ত্রের রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। এলার্জিজনিত রোগগুলো বেড়ে যায়। আর দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টে যেসব রোগী ভুগছে তাদের কষ্টটাও বেড়ে যায়। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেটাও নষ্ট হয়ে যায়।”
এ পরিস্থিতিতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. বেন নূর।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক আহমেদ বলেন, “ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ বন্ধ করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, এখানে কত টাকা লস হল এসব দেখার প্রয়োজন নেই। যে অসুস্থ হয় তার চিকিৎসার খরচ তো শুধু নয়, সে কাজও করতে পারছে না।”
গাড়ি চললেই উড়ছে ধুলা আর ধোঁয়া
ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কে গত বৃহস্পতিবার ধুলার কারণে পরনের টি-শার্ট নাক চেপে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখা গেল মাহবুব মিয়াকে।
তিনি বলেন, “এত ধুলা দম বন্ধ হয়ে আসে; শ্বাস ফেলবার মত অবস্থা থাকে না। কানের ভেতর চুলকাচ্ছে। কাজের জন্য আসতে হয় এখানে না হলে আসতাম না।”
ওইদিন সকালে আব্দুল্লাহপুরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় রাস্তার দুই পাশ দিয়ে গাড়ি চলার সময় ধুলা উড়তে দেখা গেল।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে নির্মাণস্থলে সব সামগ্রী ঢেকে রাখতে হবে, সেখানে অন্তত দিনে দুইবার পানি বা ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক ছিটাতে হবে এবং নির্মাণ সামগ্রীর পরিবহন ঢেকে চালাতে হবে।
তবে ওইদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আব্দুল্লাহপুরের নির্মাণ এলাকায় একবারও পানি ছিটাতে দেখা যায়নি। নির্মাণ সামগ্রীও উন্মুক্ত ছিল।
মহাখালী থেকে টঙ্গী, মিরপুর থেকে পুরান ঢাকা- পুরো রাজধানীই এখন ধুলার রাজ্য। গাড়ি চললেই উড়ছে ধুলা।
আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা নাজিফা আঞ্জুম বলেন, “খুব বেশি না উড়লেও সবসময়ই এখানে ধুলা উড়ে। অন্যদের অসুবিধা না হলেও আমাদের মত যারা অ্যাজমার রোগী তাদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। মাস্ক ব্যবহার করলেও দেখা যাচ্ছে ঠান্ডা লেগে যায়, দম বন্ধ হয়ে আসে।”
সাভারের বাসিন্দা আরিফ হোসেন নিয়মিত আরিচা মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় আসেন। ওই মহাসড়কে সেতু তৈরির কাজ চলছে, বালুর ট্রাকও চলে ওই রাস্তা দিয়ে। ফলে হেমায়েতপুর থেকে গাবতলি পর্যন্ত প্রচুর ধুলা উড়তে থাকে।
“আমার শুধু এটুকু পথের জন্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হয়, এরপরও কাশি-হাঁচি হয়। বাসের সবাই কাশতে থাকে। শরীরে র্যাশ উঠে যায়, দম বন্ধ হয়ে আসে।”
তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া এলাকায় রেললাইন সম্প্রসারণ করতে গত দুই মাস ধরে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। সেখানেও রিকশা, সাইকেল, বাইক এবং মানুষের হাঁটা-চলার সময় ধুলা উড়তে দেখা গেছে।
আফতাবনগর এলাকায় নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো কাজ চলতে দেখা না গেলেও ওই এলাকার মূল সড়ক থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের সময় ধুলায় ঢেকে যায়। তাছাড়া এ পথে চলাচলকারী অনেক বাস থেকেই কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
রাত ১১টার দিকে মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে বালুর ট্রাক চলে, সেগুলোকে উন্মুক্ত দেখা গেছে।
বায়ুদূষণের উৎস কী?
২০২১-২২ সালে বিশ্ব ব্যাংক পরিচালিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মো. জিয়াউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্তঃমহাদেশীয় বায়ু দূষণ (ট্রান্সবাউন্ডারি এয়ার পলিউশন) ৩০ ভাগ, রান্নার লাকড়ি ২৮ ভাগ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৪ ভাগ, ইটভাটা ১৩-১৫ ভাগ, নির্মাণ কাজ ১১ ভাগ, বর্জ্য পোড়ানো ১১ ভাগ এবং যানবাহন ৫ ভাগ দূষিত করছে বাংলাদেশের বাতাসকে।
“তবে আমরা এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত না। যেমন- যানবাহন থেকে আমার মনে হয় আরও বেশি হবে। আর শীতে নির্মাণ কার্যক্রম বেশি হয়, ইটভাটাগুলো চলে, কলকারখানা চলে, বর্জ্য পোড়ানো হয়, নির্মাণ সামগ্রী খোলা রাখা হয়, বালুগুলো রাস্তায় থাকে, গাড়ি যখন যায় তখন উড়তে থাকে।”
২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১ থেকে ২ শতাংশ করে বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
“দৈনিক বায়ুমান ১৫০ (একিউআই) থাকলে মোটামুটি সহনীয় বলা যায় ঢাকার হিসেবে, এটাও ভালো না। থাকা উচিত তো ৫০। ১৫০ এর নিচে যদি নামানো যায় তাহলে কিছুটা অর্জন হবে।”
বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।
দূষণের মাত্রা বুঝতে পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে তৈরি করা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলেন, “ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ করছে পরিবহন, তারপর নির্মাণ কাজ এবং নির্মাণ সামগ্রীর উন্মুক্ত ব্যবহার। কলকারখানা এবং ইটের ভাটাও বায়ু দূষণে ভূমিকা রাখছে।”
কোন উৎস থেকে কী পরিমাণে ঢাকার বাতাস দূষিত হচ্ছে এ নিয়ে দেশে গবেষণার অভাবও দেখছেন তিনি।
বায়ু দূষণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে চলতি বছর দুই সিটি করপোরেশন থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার তথ্য দেন খায়রুল বাকের।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র-ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বর্তমানে নির্মাণের কারণে ৫১ ভাগ, শিল্পকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে ২৯ ভাগ, যানবাহন থেকে ১৬ ভাগ আর বর্জ্য পোড়ানো ও গৃহস্থালি জিনিস থেকে কিছু বায়ুদূষণ হয়ে হচ্ছে।
তবে এবার শহরজুড়ে নির্মাণ কাজ কম থাকার কারণে অক্টোবরে আগের বছরের অক্টোবরের তুলনায় ৫ থেকে ৭ শতাংশ দূষণ কম হয়েছে বলে জানান তিনি।
শীত ঘনিয়ে আসার মধ্যে বায়ূদূষণ বেড়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, “প্রতিবেশী দেশের দূষিত বায়ুও আমাদের বায়ুমাণ খারাপ করছে। নির্মাণবিধি মেনে নির্মাণকাজগুলো করতে হবে, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতে হবে তাহলেই হবে।”
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান মনে করেন, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজ, ফিটনেসবিহীন পরিবহন আর ইটভাটা ঢাকার বাতাসকে দূষিত করছে।
“ঢাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে পরিবহন, সেগুলো খুব একটা ওয়েল মেইনটেনেন্স করা হয় না। ওয়েল মেইনটেইন না হলে এখান থেকে দূষণের বড় একটা সোর্স থাকবে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে সারা বছর বিভিন্ন এলাকজুড়ে রাস্তাও কাটাকাটি চলতে থাকে।”
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি নির্মাণ কাজ তদারকি করা, সেখানে নিয়মিত পানি দেওয়া আর ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো সরানোর পরামর্শ দিয়েছে অধ্যাপক হাদিউজ্জামান।
২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিব আহমেদ দেখেছেন, যেসব কারণে বায়ু দূষণ হচ্ছে সেগুলোর কার্যক্রম কম থাকায় কোভিড মহামারীর সময় ঢাকার বাতাস তুলনামূলক ভালো ছিল।
তিনি বলেন, “এরপর আবার আগের জায়গায় চলে আসছে। দিনদিন দূষণের মাত্রা বাড়ছে। এখন আগের চেয়ে যানবাহনের পরিমাণ বেশি, এটা বেশি ভূমিকা রাখছে বায়ুদূষণে। বর্ষাকালেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকরই থাকে। যদিও দূষণের মাত্রাটা তখন কম থাকে। শীতকালে সেটা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যায়। যে ধরনের স্টেপ নেওয়ার কথা, এটা দেখা যাচ্ছে না; এটাই বড় প্রবলেম।”
রাতে বায়ুমানের সূচক বাড়ে কেন?
গত ১৩ নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার বায়ুমান সূচক ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকছে। তবে রাত ১০টার পর থেকে তা ২০০ থেকে ৩০০ এর কাছাকাছি চলে আসে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বুধবার পর্যন্ত প্রকাশিত বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, গত ১২ অক্টোবর থেকে কয়েকদিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে ঢাকার বায়ুমান ১৫০ এর উপরেই থাকছে।
এই ৪০ দিনের মধ্যে কেবল ১২ দিন বায়ুমান সূচক ১৫০ এর নিচে ছিল এবং ৬ দিন ২০০ এর উপরে ছিল ঢাকার বায়ুমান। এর মধ্যে গত ১৬ নভেম্বর বায়ুমান ছিল ২৪২।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলেন, “রাতে বালুর ট্রাক, নির্মাণ সামগ্রীর পরিবহন চলে। এগুলো নিচ দিয়েও দূষণ করে, সেগুলো উড়ে উপর দিয়েও যাচ্ছে। অনেক কলকারখানা রাতে চলে, সেগুলো থেকে প্রচণ্ড দূষিত বায়ু নির্গত হয়। একারণে রাতে স্কোরটা বেড়ে যায়।”
নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ?
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর কী করছে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে চিঠি দিয়ে অবহিত করছেন তারা।
“মূল কাজ তো শুধু একটা মন্ত্রণালয়ের না, অনেক মন্ত্রণালয় এখানে যুক্ত আছে। জনবলের অভাবে আমরা মনিটরিং করতে পারি না, সবকিছুই আমাদের নজরে থাকা উচিত।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলেছেন, দূষণ কমাতে এ মাসেই প্রধান প্রধান সড়কে পানি ছিটানোর কাজ শুরু হবে।
তবে এখানেও সংকটের কথা বলেন তিনি।
“এ সময়ে পানিরও সংকট তৈরি হয়। চারপাশের নদীগুলোর পানিও এত বিষাক্ত সেটা ব্যবহারযোগ্য না। আমরা যাব কোথায়? আমরা আসলে চারপাশ দিয়ে ঝামেলায় আছি। আর আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা আছেন উনারা সচেতন করেন, জরিমানা দেন নির্মাণ সামগ্রী যারা উন্মুক্ত রাখে তাদের।”
অন্যদিকে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রধান প্রধান সড়কে পানি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
তিনি বলেন, “আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন এবং যদি দেখেন মালামাল খোলা রেখেছে আর সেখান থেকে ধুলা উড়তেছে তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হয়। প্রায়ই তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।”
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকায়