অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।
Published : 17 Nov 2014, 05:40 PM
এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জামায়াত নিয়ন্ত্রিত বিনোদপুর এলাকার ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ন কবির, ওই কলেজের শিক্ষক ফজলুল হকও রয়েছেন।
সোমবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে মতিহার থানার ওসি ও এই হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আটক ১১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- চৌদ্দপাই এলাকার পল্লী চিকিৎসক মোশারফ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ, মশিউর রহমান, হাসিবুর রহমান, জিন্নত আলী, সাইফুদ্দিন, রেজাউল করিম, সাগর ও আরিফ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পূর্ব দিকে বিনোদপুর ছাড়িয়ে চৌদ্দপাই এলাকায় বাসায় ফেরার পথে শনিবার দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শফিউল।
হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয় বলে ওসি আলমগীর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এদের মধ্যে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রথম দফায় ১১ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
চৌদ্দপাই এলাকার পাশের বিনোদপুরের আহলে হাদিস মসজিদের কাছে ১০ বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুসকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যামামলায় দুই জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
লালনভক্ত শফিউলকেও জঙ্গিরা হত্যা করেছে বলে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে দাবি করেছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, তারা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সব কিছুই খতিয়ে দেখছেন।
এদিকে সহকর্মী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। খুনিদের গ্রেপ্তারে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে তা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছে তারা।
শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।